Prashant Kishor: ‘রাজনৈতিক দল নয়, মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষ’, প্রশান্ত কিশোরের গলায় অশনি সঙ্কেত?

May 21, 2024 | 6:42 AM

Prashant Kishor: নিজের বক্তব্য়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতে কোনও দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায় না। ১০০ জন ভোট দিলে মাত্র ৪০ জন মোদীর আদর্শকে সমর্থন করেন।

Prashant Kishor: রাজনৈতিক দল নয়, মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষ, প্রশান্ত কিশোরের গলায় অশনি সঙ্কেত?
মোদীকে নিয়ে কী বললেন প্রশান্ত কিশোর
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: ২০১৪ সালে যাকে বলা হত ‘মোদী ঝড়’, ২০১৯ সালেও যা অব্যহত ছিল বলে মনে করা হয়, ২৪-এ সেই ঝড় কোথায়? লোকসভা নির্বাচনের মাঝে এমনই প্রশ্ন তুললেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। দেশে চার দফা ভোট হয়েছে ইতিমধ্যেই। এখনও বাকি তিন দফা। তার মধ্যেই প্রশান্ত কিশোর ব্যাখ্যা করলেন, বর্তমানে মোদীর জন্য কোনটা চ্যালেঞ্জ? ‘ব্র্যান্ড মোদী’র প্রভাব আর কাজ করছে কি না, সেই বিশ্লেষণও করেছেন তিনি।

প্রশান্ত কিশোরের মতে, নরেন্দ্র মোদীকে কেউ হারাতে পারবে না, এ কথা আর মানুষ বিশ্বাস করছে না। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, সেই সাধারণ মানুষই এখন মোদীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, কোনও দল বা কোনও নেতা নয়, মানুষই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

অন্ধ্র প্রদেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “যে দেশে ৬০ শতাংশ মানুষ দিনে ১০০ টাকার বেশি রোজগার করে না, সেখানে সরকার-বিরোধিতা কখনও দুর্বল হতে পারে না। কখনও এই ভুল করা উচিত নয়।” তাঁর কথায়, ‘বিরোধী দল দুর্বল হতে পারে, সরকার-বিরোধী মানুষ দুর্বল নয়।’

নিজের বক্তব্য়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতে কোনও দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায় না। ১০০ জন ভোট দিলে মাত্র ৪০ জন মোদীর আদর্শকে সমর্থন করেন, সমর্থন করেন তাঁর কাজ, হিন্দুত্ব, রাম মন্দিরের মতো বিষয়কে। শুধু ৪০ শতাংশ খুশি আর ৬০-৬২ শতাংশ অখুশি। প্রশান্ত কিশোর বলেন, গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি দেশে একটা বড় ইস্যু, আর সেটাই মোদী তথা বিজেপির সামনে চ্যালেঞ্জ। তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতির মধ্যেও যদি বিজেপি জয়ী হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে বিরোধীদের যথেষ্ট শক্তি বা মানুষ তাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না।

প্রশান্ত কিশোর আরও উল্লেখ করেন, ‘ব্র্যান্ড মোদী’ প্রভাব আর তেমন নেই। তাঁর মতে, ২০১৪-তে যে ‘ক্যারিশ্মা’ কাজ করেছিল, ২০২৪-এ তা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ভোটকুশলীর কথায়, ১৪ সালে মোদীকে ঘিরে একটা উৎসাহ ছিল। ২০১৯-এর মানুষ ভেবেছিল, আরও ৫ বছর সময় দেওয়াই যায়। আর এখন মানুষ মনে করছেন, আর কেই নেই যখন একেই ভোট দিতে হবে। আর কী করা যায়! আর রাম মন্দির? সেটাও বিজেপিকে কোনও অতিরিক্ত পয়েন্ট দেবে না বলে মনে করেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, আগেও যাঁরা রামের নামে ভোট দিত, এবারও দেবে। এতে বিজেপির কোনও বাড়তি পাওনা হবে না।

Next Article