COVID Vaccine Price: মাত্র ২৭৫! অনেকটা কমতে পারে করোনা টিকার প্রতি ডোজ়ের দাম
Vaccine price in India: কোভিশিল্ড (COVISHIED) এবং কোভ্যাক্সিনের (COVAXIN) প্রতি ডোজ়ের দাম ২৭৫ টাকা করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে।
নয়া দিল্লি : করোনার (COVID 19) বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হচ্ছে দেশে। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের (Vaccination) উপর। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই একাধিক দফায় প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করেছে। বৈঠক হয়েছে রাজ্য ও জেলাস্তরে। এরই মধ্যে দেশে করোনা টিকার ডোজের দাম আরও কমতে চলেছে। কোভিশিল্ড (COVISHIELD) এবং কোভ্যাক্সিনের (COVAXIN) প্রতি ডোজ়ের দাম ২৭৫ টাকা করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার এই দুই ভ্যাকসিনের জন্য এই দাম কমানোর বিষয়টি ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)-কে ইতিমধ্যেই দাম নির্ধারণের জন্য কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান দাম অনুযায়ী, বেসরকারি জায়গা থেকে করোনা টিকা নিতে গেলে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রতিটি ডোজের দাম ১২০০ টাকা। অন্যদিকে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজ়ের দাম ৭৮০ টাকা । এর সঙ্গে পরিষেবা বাবদ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা যোগ করা যায়।
ওই সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, “এনপিপিএ-কে ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে। ১৫০ টাকা অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জের বিষয়টি আগের মতোই থাকছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ডোজের দাম ২৭৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হতে পারে।” উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি, কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার করোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন খোলা বাজারে অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর (সরকার এবং নিয়ন্ত্রক বিষয়ক) প্রকাশ কুমার সিং, ২৫ অক্টোবর ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জন্য খোলা বাজারের অনুমোদন চেয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন। এদিকে, ভারত বায়োটেকের হোল টাইম ডিরেক্টর ভি কৃষ্ণ মোহনও কয়েক সপ্তাহ আগে কোভ্যাক্সিনের জন্য খোলা বাজারে অনুমোদন চাওয়ার সময়, প্রি-ক্লিনিক্যাল এবং ক্লিনিকাল ডেটা সহ সম্পূর্ণ তথ্য জমা দিয়েছিলেন।
দুটি ভ্যাকসিনই শুধু দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। উল্লেখ্য, কোনও টিকাকে খোলা বাজারের অনুমোদন মঞ্জুর করা হয় যখন ভ্যাকসিনটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন : Budget 2022: প্রত্যাশা পূরণের বাজেটে স্বাস্থ্য পণ্যের উপর GST কমানোর দাবি বীমা সংস্থাগুলির
আরও পড়ুন : UP Assembly Election: ৩ মিনিটেই অখিলেশকে রাজি করিয়েছেন! টিকিট পাওয়ার নেপথ্য কাহিনী জানালেন সপা প্রার্থী