UP Assembly Election: ৩ মিনিটেই অখিলেশকে রাজি করিয়েছেন! টিকিট পাওয়ার নেপথ্য কাহিনী জানালেন সপা প্রার্থী

Akhilesh Yadav: ইতিমধ্যে প্রধান দলগুলির তরফে ধাপে ধাপে ৪০৩ আসনে উত্তর প্রদেশ বিধানসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এবার সামনে এল এক নতুন কাহিনী।

UP Assembly Election: ৩ মিনিটেই অখিলেশকে রাজি করিয়েছেন! টিকিট পাওয়ার নেপথ্য কাহিনী জানালেন সপা প্রার্থী
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 6:21 PM

আগ্রা: সামনেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election)। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই মাঠে নেমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। উত্তর প্রদেশে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যেই প্রধান লড়াই হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে প্রধান দলগুলির তরফে ধাপে ধাপে ৪০৩ আসনে উত্তর প্রদেশ বিধানসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এবার সামনে এল এক নতুন কাহিনী। ফতেহবাদের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী রূপালি দীক্ষিত জানিয়েছেন, সপা প্রধানকে বুঝিয়ে তাঁর থেকে টিকিট পেতে মাত্র তিন মিনিট সময় লেগেছে। প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল রূপালিকে এমনকি নিজের বাবাকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। তাঁর বাবা খুনের দায়ে জেলে রয়েছেন।

রূপালি জানিয়েছেন তিনি বর্ণবাদে বিশ্বাস করেন না এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের দরিদ্রদের জন্য সরকারি প্রকল্পগুলিতে স্বচ্ছ এবং যথাযথ বরাদ্দই তাঁর প্রধান চাহিদা। এর আগে বিজেপি থেকেও টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রূপালি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “আমি সমাজবাদী প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমি কী চাই অখিলেশ জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আমি বিজেপি প্রার্থী ছোটেলাল ভার্মার বিরুদ্ধে লড়তে চাই এবং আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন আমি জিতবই।”

ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা এবং আইনে স্নাতক রূপালিকে প্রার্থী করার জন্য আগের বেছে নেওয়া প্রার্থীকে টিকিট দেননি অখিলেশ। সিম্বায়োসিস পুণে থেকে স্নাতক পাশ করে তিনি কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং ইউনিভার্সিটি অফ লিডস থেকে মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপনে এমএ করার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। দুবাইয়ে বহুজাতিক সংস্থাতে তিন বছর তিনি উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। রূপালির বাবা ৭৫ বছর বয়সী অশোক দীক্ষিত এর আগে সপার টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন তবে বর্তমানে খুনের দায়ে তিনি জেলে রয়েছেন। উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে ‘বাহুবলী’ হিসেবে পরিচিত অশোক ১৯৯৬ সালে প্রথম সপার টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন। ২০০২ সালে মায়বতীর বিএসপির টিকিটে তিনি ভোটে লড়েন এবং ২০০৭ সালে নির্দল প্রার্থী হয়ে তিনি ভোটে লড়েছিলেন। এবং তিনবারই পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রূপালি জেতেন কিনা সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: Budget 2022: করোনার ঢেউয়ে হাবুডুবু খেয়েছে অটোমোবাইল শিল্প! তীরে পৌঁছতে বাজেটেই ভরসা শিল্পপতিদের

আরও পড়ুন : Protest over Railway Recruitment: দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক কামরা! রেল নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বিহার