কলকাতা: সপ্তাহের প্রথম দিনই ভরসন্ধ্যায় কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্য। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সিকিম। এ ছাড়াও বিহার এবং অসমেও বেশ তীব্র কম্পন টের পাওয়া যায়। কম্পনের পর সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে এ বার কম্পন প্রভাবিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, চার রাজ্যের মধ্যে তিনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন নমো। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। যদিও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি বলেই খবর।
ভূমিকম্পের প্রভাব চার রাজ্যে অনুভূত হলেও কোথাও বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই খবর। সন্ধ্যা ৮ টা ৪৯ নাগাদ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা কেঁপে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পথে নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় ডুয়ার্স, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে। কলকাতাতেও অনুভূত হয় সেই মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে পশ্চিমবঙ্গে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ভরসন্ধ্যায় কম্পনের জেরে ভয়ে রাস্তায় নেমে শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেওয়া শুরু করেন শিলিগুড়ির বাসিন্দারা। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় ডুয়ার্স, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জে।
আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ড: লালার কয়েকশো কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
ভূমিকম্পের এপিসেন্টার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের ২৫ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার অন্দরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল লাচুং থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে। বেশ কয়েক সেকেন্ড এই কম্পন স্থায়ী হয়। কম্পন অনুভূত হয় সিকিম, ভূটান ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। বাংলায় কম্পনের মাত্রা ৬.১ হলেও উৎসস্থল সিকিমে কম্পনের মাত্রা ছিল কম। সিকিমে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৪ ছিল বলে জানানো হয়। কম্পনের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ালেও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেপাল এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতেও কম্পন টের পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ‘মমতা মুসলিমদের ভোট চাইছেন’, এফআইআর দায়ের করতে চেয়ে কমিশনে বিজেপি