নয়া দিল্লি: মহিলাদের জন্য সংসদে যুগান্তকারী বিল পাশ হয়েছে। নারীশক্তি বন্দনা অধিনিয়মের আওতায়, সংসদের এক তৃতীয়াংশ জনপ্রতিনিধি হবেন মহিলা। লোকসভা ও রাজ্যসভায় একতরফাভাবে পাশ হয়েছে বিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে নারী ক্ষমতায়ন আরও এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। নারীশক্তি বন্দনা অধিনিয়ম মোদী জমানার অন্যতম বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মহিলা সাংসদরা কীভাবে দেশের প্রগতিতে সামিল হয়েছেন, কীভাবে দেশের গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করেছেন, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নমো।
এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পরিসংখ্যানও পোস্ট করেছেন তিনি। বিগত দিনগুলিতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আরও অন্যান্য সেক্টরে মহিলা সাংসদরা কীভাবে নিজেদের পদচিহ্ন স্পষ্ট করেছেন, সেই কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই ট্রেন্ড ভীষণই উৎসাহব্যঞ্জক। এটা একটা উদাহরণ যে আগামী দিনে কীভাবে নারীশক্তি বন্দনা অধিনিয়ম আমজনতার কণ্ঠস্বরকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরবে।”
পঞ্চদশ লোকসভা (২০০৯-২০১৪) ও ষোড়শ লোকসভার (২০১৪-২০১৯) তুল্যমূল্য পরিসংখ্যানও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেখা যাচ্ছে সংসদীয় রাজনীতিতে বা সংসদীয় আলোচনায় মহিলা জনপ্রতিনিধিদের অবদান ইউপিএ জমানার তুলনায় মোদী জমানায় কীভাবে বেড়েছে।
ইউপি জমানায় (২০০৯-২০১৪) সালে সংসদে পুরুষ সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন ৪৪৮টি, যেখানে মহিলা সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন ৪১৩টি। কিন্তু মোদী জমানায় এই পরিসংখ্যান আমূল বদলে যায়। ২০১৪-২০১৯ সালে সংসদে কেবল মহিলা সাংসদরাই ৬০০ প্রশ্ন উত্থাপিত করেছেন। যেখানে পুরুষ সাংসদদের উত্থাপিত করা প্রশ্নের সংখ্যা ৪২০।
সংসদীয় আলোচনায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে বিজেপির মহিলা সাংসদরাই। যেমন পঞ্চদশ লোকসভায় অর্থাৎ ইউপিএ জমানাতেও বিজেপির মহিলা সংসাদরা ৩৫৫টি প্রশ্ন তুলেছেন, সেখানে ইউপিএ জোটের মহিলা সাংসদরা তুলে ধরেছেন ৫৮টি প্রশ্ন। আর ষোড়শ লোকসভায় বিজেপির মহিলা সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন ৩৪৬টি, যেখানে কংগ্রেসের মহিলা সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন ২৫৪টি।