পুনে: পর্বতারোহণ বা এভারেস্ট অভিযান অনেকেরই স্বপ্ন থাকে। ইচ্ছাশক্তির কাছে যে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না, তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু, তাই বলে ৬ বছর বয়সে এভারেস্ট আরোহণের চেষ্টা! এবার এমনটাই করে দেখাল পুনের নাবালিকা আরিষ্কা লাদ্ধা। মায়ের সঙ্গে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) বেসক্যাম্প ১৭,৫০০ ফুট উচ্চতায় হেঁটে উঠেছে আরিষ্কা (Pune girl)। আর সঙ্গে সঙ্গেই দেশের কনিষ্ঠতম (Youngest Indian) এভারেস্ট বেসক্যাম্প আরোহী হিসাবেও রেকর্ড করল আরিষ্কা।
পুনের কোথরুদ এলাকার বাসিন্দা আরিষ্কা লাদ্ধা তার মা ডিম্পল লাদ্ধার সঙ্গে ১৫ দিনের অভিযানে ১৩০ কিলোমিটার পথ হেঁটে মাউন্ট এভারেস্টের বেসক্যাম্পে পৌঁছেছে। এই যাত্রাপথে তাঁরা মাইনাস ৩ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ঠান্ডা পেয়েছেন। টানা ১৫ দিন হাঁটার পর বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছতে পেরে খুশি ছোট্ট আরিষ্কা। যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সে বলে, আমি খুব খুশি হয়েছি। প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল সেখানে। তবে আমি এভারেস্ট সামিটে পৌঁছতে পেরেছি। আমরা ইয়াক এবং খচ্চর দেখেছি।
আরিষ্কার মা ডিম্পল লাদ্ধা জানান, তিনি ছোটো থেকেই খেলাধূলায় সামিল রয়েছেন। প্রতি বছরই সাইকেলিং, ট্রেকিং, দৌড় প্রতিযোগিতায় সামিল হন। তবে ৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে এভারেস্ট সামিটে যাওয়ার কথা সাধারণত কেউ সহজে ভাবতে পারেন না। ডিম্পল বলেন, আমি নিজের ঝুঁকিতেই মেয়েকে নিয়ে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে গিয়েছি। আমার মেয়ে ছোট থেকেই খুব সক্রিয়। পুনের সংলগ্ন এলাকায় প্রতি শনি, রবিবার আমরা মেয়েকে নিয়ে ট্রেকিংয়ে যাই। এবার ছোট্ট আরিষ্কাকে নিয়ে এভারেস্ট সামিটে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং মেয়েকে পেশাগতভাবে ট্রেকিং প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ডিম্পল।
অন্যদিকে, এভারেস্ট বেসক্যাম্পে কনিষ্ঠতম ভারতীয় হিসাবে মেয়ের নাম ওঠায় গর্বিত বোধ করছেন আরিষ্কার বাবা কৌস্তভ লাদ্ধা। তাঁর কথায়, সে (আরিষ্কা) দেশকে গর্বিত করেছে। সে সবসময় আমাদের সমর্থন পাবে। যদিও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ব্যাপারে খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে আরিষ্কা ও তার মা এভারেস্টে ওঠার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিল।