Punjab: নভজ্যোত সিং সিধুকে পাল্টা আক্রমণ পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

Punjab, নভজ্যোত সিং সিধুকে আক্রমণ করলেন রাজ্যে অ্যাডভোকেট জেনারেল এপিএস দেওল।

Punjab: নভজ্যোত সিং সিধুকে পাল্টা আক্রমণ পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেলের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 4:57 PM

চণ্ডীগঢ়: এবার পঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকে আক্রমণ করলেন রাজ্যে অ্যাডভোকেট জেনারেল এপিএস দেওল। বেশ কিছুদিন ধরেই অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে দেওলের পদত্যাগ চাইছিলেন সিধু। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৫ সালে পঞ্জাবে পুলিশে গুলি চালনার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীর হয়ে কোর্টে সওয়াল করেছিলেন দেওল। দেওল বলেন, নিজের দলীয় সহকর্মীদের থেকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকার জন্যই সিধু ভুল তথ্য পরিবেশন করছেন। এছাড়াও দেওলের অভিযোগ সরকার ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাজে বাধা দিচ্ছেন সিধু।

পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে নিজের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহারের ঠিক পরের দিনই সিধুর উদ্দেশে এই আক্রমণ। সিধু শর্ত দিয়েছিলেন। যদি নয়া ডিজিপি ও অ্যাডভোকেট জেনারেল দেওলকে রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া একমাত্র তবেই তিনি আবার কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন।

নিজের বিবৃতিতে দেওল বলেন ” রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে উদ্দেশ্য নিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। রাজনীতির কারণে অ্যাডভোকেট জেনারেলের মত সাংবিধানিক পদের ক্ষেত্রেও কোনরকম রেয়াত করা হচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন ” কংগ্রেস নেতা মাদক মামলা এবং ধর্মবিশ্বাসের মামলার কথা বার বার বলে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টাকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করে চলেছেন।”

শুক্রবার সিধু বলেছিলেন ” কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সৈনিক হিসেবে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করছি। তবে, যেদিন নতুন ডিজি ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের নাম ঘোষণা হবে সেদিনই দায়িত্বভার গ্রহণ করব। সত্যের রাস্তায় হাঁটলে, পদ দিয়ে কিছু যায় আসে না।”

পাকিস্তানের সাংবাদিক অরুসা আলমের সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সম্পর্ক নিয়ে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। সেই সময় সিধু জানিয়েছিলেন, পঞ্জাব সরকারের উচিৎ মানুষের আসল সমস্যা গুলির সমাধান বের করার চেষ্টা করা। প্রত্যেক পঞ্জাবের নাগরিকের চাহিদা ও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের চেষ্টা করা উচিৎ বলেই জানিয়েছেন সিধু। দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আসল সমস্যাগুলিকে তিনি কখনই চাপা পড়ে যেতে দেবেন না।

টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, ক্ষত স্থান মেরামত করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এটাই শেষ সুযোগ। কয়েকদিন ধরেই একের পর এক ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পঞ্জাবের রাজনীতি। দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়েন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তারপরেই চরণজিৎ চন্নীকে (Charanjit Singh Channi) মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসান সনিয়া রাহুলরা। কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন ঘোষণা করেও শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সভাপতি পদে দেওয়া ইস্তফা প্রত্য়াহার করলেও নিজের দাবিতে অনড় সিধু।

আরও পড়ুন Rubina Dilaik’s sister: বাগদান সারলেন রুবিনা দিলায়েকের বোন জ্যোতিকা, আলাপ করুন পাত্রর সঙ্গে