চণ্ডীগঢ়: সামনেই নির্বাচন(Punjab Assembly Election 2022), তার আগে প্রার্থী নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। মঙ্গলবারই তিনি জানিয়ে দেন, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও তাদের জেতার সম্ভাবনা যাচাই করেই তাদের বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে টিকিট দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh) ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা এবার বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট নাও পেতে পারেন। এদিকে, অমরিন্দর সিং নতুন দলের সূচনার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সেই দল ঘোষণা হয়ে গেলে একাধিক কংগ্রেস নেতা নতুন দলে যোগ দিতে পারেন বলেও গুঞ্জন। এই পরিস্থিতিতেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমস্যয়ার মুখে পড়েছে পঞ্জাব কংগ্রেস (Congress)।
নয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Singh Channi)-র সঙ্গে বিবাদের জেরে গত মাসেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। দলের তরফে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সম্প্রতিই তিনি ইস্তফা পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকেই নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সিধু। নির্বাচনের মুখে দলের মধ্যে একতা প্রদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও কংগ্রেস নেতা হরিশ চৌধুরীও সিধুর সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানিয়েছেন।
গতকালই সিধু বলেন, “প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও জেতার সম্ভাবনা যাচাই প্রাথমিক শর্ত। এছাড়াও আমরা ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও বেআইনি বা নীতিবিরুদ্ধ কাজ করার অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখব। তারপরই বিধায়কের টিকিট দেওয়া হবে।”
ইতিমধ্যেই বর্তমানে যারা বিধায়ক রয়েছেন, তাদের কাজ ও তা নিয়ে কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনও খামতি পাওয়া যায়, তবে ওই বিধায়ককে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আসন দেওয়া হবে না বলেই জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের সমস্ত কর্মীকে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিয়ে সিধু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল রাজ্যের অর্থনীতির হাল ফেরানো এবং আমরা সবাই একজোট হয়ে এই কাজ করব। আগামিদিনে দলের হয়ে প্রচারও আমাদের সকলকে মিলিতভাবে করতে হবে।”
তিনি জানান, আগামী পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যেই জেলা সভাপতি ও অন্যান্য় গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপরই পুরোদমে প্রচারে নামা হবে। নিজের প্রসঙ্গেও সিধু বলেন, “কেবল রাজনীতি করাই আমার লক্ষ্য নয়, পঞ্জাবের মানুষদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করারও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব। এই লক্ষ্য তখনই পূরণ হবে, যখন রাজ্যে সুশাসন ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।”
আগামী দুই মাসেই ২০২২ সালের সরকারের রোডম্যাপ তৈরি হয়ে যাবে, এই কথা উল্লেখ করে সিধু বলেন, “বিগত সাড়ে চার বছর ধরে যা করা হয়নি, তা দুই মাসে করা হচ্ছে। মুখের কথা নয়, তথ্যই তার প্রমাণ দিচ্ছে।”