Supreme Court: ‘স্বশাসিত’ সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করে না কেন্দ্র; সুপ্রিম কোর্টে জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

Centre vs West Bengal on CBI: সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এল এন রাও, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ দুই সপ্তাহ পর বিষয়টির শুনানির দিন স্থির করেছেন। তার মধ্যে কেন্দ্রকে নিজের স্বপক্ষে যাবতীয় বক্তব্য জমা করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Supreme Court: 'স্বশাসিত' সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করে না কেন্দ্র; সুপ্রিম কোর্টে জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
নির্মামকাজে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2021 | 11:44 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, স্বতন্ত্র তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্র।

সুপ্রিম কোর্টে আজ অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে জেনারেল জানিয়েছেন, “সিবিআইয়ের কোনও বিষয় নিয়ে মাথাই ঘামায় না কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ আইন রয়েছে, যার নাম ডিএসপিই অ্যাক্ট (দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এসটাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট)। এবং এর অধীনে সমস্ত আধিকারিকরা তদন্ত প্রক্রিয়া চালান।”

অ্যাটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, সিবিআই একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। সিবিআইয়ের কোনও কাজের উপর, কোনও মামলা দায়ের করার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের কোনওরকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তিনি আরও বলেন, সিবিআইয়ের মতো স্বশাসিত সংস্থা বিধিবদ্ধভাবে চলে এবং কেন্দ্রীয় সরকারও সিবিআইয়ের কোনও ব্যাপারে তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র কোনও মামলা করে না, বা কোনও তদন্ত করে না। যা মামলা করার, যা তদন্ত করার সব সিবিআই করে। সুতরাং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এল এন রাও, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ দুই সপ্তাহ পর বিষয়টির শুনানির দিন স্থির করেছেন। তার মধ্যে কেন্দ্রকে নিজের স্বপক্ষে যাবতীয় বক্তব্য জমা করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

মামলাটি প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। রাজ্য সরকারের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতে জোর দেন বিষয়টি আজই শুনানির জন্য। রাজ্যে বেআইনি কয়লা উত্তোলন এবং রেলের মাধ্যমে তা চালান করার অভিযোগে রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত করার অধিকার সিবিআইয়ের রয়েছে কিনা তা নিয়ে সওয়াল করেন।

এই নিয়ে আজ বিচারপতি রাও আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরাকে জানান,” আজ কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারে কর্মীদের আবেদন সহ কিছু আরও কিছু শুনানি রয়েছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সেই কারণ, এই মামলাটির শুনানি পরে হবে।”

কিন্তু এরপরেও সিদ্ধার্থ লুথরা মামলাটি আজই শোনার জন্য বললে বিচারপতি বলেন, “আমরা আপনাকে শুধু একটি সাধারণ প্রশ্ন করতে চাই। আপনি কি এখানেই আপনার কথা বলতে চান নাকি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে? যে মামলাগুলির শুনানি রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে অনেকগুলি বিষয় একসঙ্গে মিশে রয়েছে। ওই মামলার থেকেও আমাদের এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা হবে।”

এদিক অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার পাল্টা সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, “এই মামলার অনুমতি দেওয়া উচিত। বিপক্ষ যে বক্তব্য রাখছে, তা সম্পূর্ণ হাস্যকর। মামলার অনুমতি দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়নি এবং কোনও উপস্থিতিও নেই। আমি অ্যাটর্নি জেনারেলকে আটকাব না, তবে যে বক্তব্য রাখা হচ্ছে তা একবার দেখুন।”

এর পাশাপাশি মামলায় সিবিআইকে পার্টি করা হয়নি বলেও সুপ্রিম কোর্টে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

আরও পড়ুন : Noise Pollution: কোন আইনে বলেছে মসজিদগুলিতে লাউড স্পিকার চালানো যাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের