Gurbani Telecast Row: বিনামূল্যে হবে স্বর্ণ মন্দির থেকে গুরবাণী সম্প্রচার, মুখ্যমন্ত্রী মানের পদক্ষেপ ঘিরে বিতর্ক

Bhagwant Singh Mann: এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী যখন বিনামূল্যে গুরবাণী সম্প্রচারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি, বাদল পরিবার ও শিরেমণি আকালি দল তার বিরোধিতা করেছিল।

Gurbani Telecast Row: বিনামূল্যে হবে স্বর্ণ মন্দির থেকে গুরবাণী সম্প্রচার, মুখ্যমন্ত্রী মানের পদক্ষেপ ঘিরে বিতর্ক
ফাইল চিত্র

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jun 19, 2023 | 12:15 PM

অমৃতসর: পঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দির (Golden Temple) থেকে গুরবাণীর সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর বিতর্ক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann) রবিবার জানান, শীঘ্রই ক্যাবিনেটের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনামূল্যে হরমন্দির সাহিব (স্বর্ণ মন্দির) থেকে গোটা অমৃতসরে গুরবাণী(Gurbani)-র সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টুইটে তিনি দাবি করেবন, গুরবাণী শোনা সকলের অধিকার এবং তার জন্য কোনও টাকা নেওয়া উচিত নয়। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। শিখদের নিয়ামক সংস্থা শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির তরফে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে।

রবিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইটে লেখেন, “ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমরা আগামিকাল ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি। ভক্তদের দাবি মেনে আমরা শিখ গুরুদ্বার আইন ১৯২৫-এ একটি নতুন ধারা যুক্ত করতে চলেছি যেখানে হরমিন্দর সাহিব থেকে সকলের জন্য বিনামূল্যে গুরবাণী সম্প্রচার করা হবে। এর জন্য কোনও টেন্ডারের প্রয়োজন পড়বে না। আগামিকাল, ২০ জুন রাজ্য বিধানসভায় এই নিয়ে ভোট হবে।”

উল্লেখ্য, হরমন্দির সাহিবে (স্বর্ণ মন্দির) গুরবাণী সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি, যা বাদল পরিবার নিয়ন্ত্রণ করে। পঞ্জাবের রাজনীতিতে শিরোমণি অকালি দল ও বাদল পরিবার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুখ্যমন্ত্রী মানের এই সিদ্ধান্তে গুরবাণী সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বাদল পরিবার যে একচেটিয়া রাজত্ব চালাত, তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই কারণেই শিরোমণি অকালি দল পঞ্জাব সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী যখন বিনামূল্যে গুরবাণী সম্প্রচারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি, বাদল পরিবার ও শিরেমণি অকালি দল তার বিরোধিতা করেছিল।

অন্য়দিকে, বিরোধী দল কংগ্রেস ও বিজেপির তরফেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, সংসদ শিখ গুরুদ্বার আইন, ১৯২৫ তৈরি করেছে। তাই রাজ্য সরকার সেই আইন পরিবর্তন করতে পারে না।