সেই পুরনো ছক্কা হাঁকানোর মেজাজে মঞ্চে প্রদেশ সভাপতি সিধু, পাশেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দরও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 23, 2021 | 7:44 PM

Punjab Congress: গত ১৮ জুলাই 'সিক্সার সিধু'কেই পঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি হিসাবে মনোনীত করে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি।

সেই পুরনো ছক্কা হাঁকানোর মেজাজে মঞ্চে প্রদেশ সভাপতি সিধু, পাশেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দরও
ছবি এএনআই।

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: আনুষ্ঠানিক ভাবে পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। শুক্রবারই চণ্ডীগঢ়ে এক অনুষ্ঠানে প্রদেশ সভাপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। নতুন দায়িত্ব নিয়েই ‘টিম পঞ্জাবের ক্যাপ্টেন’-এর ঘোষণা, সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামী দিনে সংগঠনের কাজ করতে হবে। সংগঠনের সমস্ত লড়াইয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়াবেন তিনি।

এদিন নভজ্যোত সিং সিধু বলেন, “আমার কোনও ইগো নেই। আমি সমস্ত দলীয় কর্মী, নেতাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। একজন নেতার আত্মা কর্মীরাই। যাঁরা আমার থেকে বড় তাঁদের জন্য আমার শ্রদ্ধা থাকবে, ছোটদের জন্য অনেক ভালবাসা…। আমাদের শক্তি আমাদের ঐক্যবদ্ধতাই হবে।”

তবে রাজ্যে সংগঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার আগে একাধিকবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে নানা টানাপোড়েনে জড়িয়েছেন তিনি। সিধুকে একঘরে করে রাখার অভিযোগও ছিল এই অমরিন্দরের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়। তবে আগামী বছর পঞ্জাবে ভোট। তাই এসব ঘরোয়া কোন্দলকে প্রশ্রয় দিতে চায়নি দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব।

গত ১৮ জুলাই ‘সিক্সার সিধু’কেই পঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি হিসাবে মনোনীত করে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (AICC)। দলের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কিন্তু গত কয়েক দিনে একাধিকবার সিধুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্জাবের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর উপর যে একের পর এক অভিযোগ এনেছিলেন সিধু, তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে অমরিন্দর সিং সিধুর সঙ্গে দেখা করবেন না বলেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ রবীন ঠুকরাল। কিন্তু এদিন অমরিন্দরের উপস্থিতি নজর কেড়েছে।

এদিনের অনুষ্ঠানের পর পঞ্জাব ভবনে এক চা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দেন অমরিন্দর সিং ও প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। অনেকেই বলছেন, এবার হয়তো পঞ্জাবে ঘরোয়া কোন্দলে রাশ পরানো গেল! সংগঠন নিয়ে সোনিয়া, রাহুলদের অস্বস্তি কমবে। তবে সত্যি তেমনটা হল কি না তা সময়ই বলবে। কারণ, এদিন সিধুকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যাঁরা আমার বিরোধিতা করেন, তাঁরা আমাকে আরও উন্নত হতে সাহায্য করেন।” কার জন্য এ বার্তা প্রদেশ সভাপতির? দু’য়ে দু’য়ে চার করছেন অনেকেই।  আরও পড়ুন: এবার ত্রিপুরাতেও গোরক্ষা থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিলের দাবি, সরব বিজেপি বিধায়ক

Next Article