Puri Girl Death: ১৪ দিন যুদ্ধে করে হেরে গেল পুরীর দ্বগ্ধ কিশোরী, মৃত্যুর পরই পুলিশ বলল, ‘কেউ আগুন লাগায়নি’!
Puri Girl Death: গত ১৯ জুলাই পুরীতে ভার্গবী নদীর তীরে ওই কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় তিন দুষ্কৃতী। দেহের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। পিপলি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

ভুবনেশ্বর: শেষরক্ষা হল না। ওড়িশায় ১৫ বছরের যে কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা, তাঁর মৃত্যু হল। ২০ জুলাই থেকে দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন কিশোরী। গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই খবর জানান।
গত ১৯ জুলাই পুরীতে ভার্গবী নদীর তীরে ওই কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় তিন দুষ্কৃতী। দেহের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। পিপলি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে দিল্লির এইমসে নিয়ে আসা হয়। এখানেই বিগত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
গতকাল, শনিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “বালানগা ঘটনায় নির্যাতিতার মৃত্যুর খবরে গভীর শোকাহত। সরকার ও এইমস দিল্লির বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিমের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পরও ওর জীবন রক্ষা করা গেল না।”
এদিকে, ওই কিশোরীর মৃত্যুর পরই বদলে গিয়েছে পুলিশি রিপোর্টও। ওড়িশা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে এই ঘটনায় অন্য কারোর যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। কীভাবে ওই কিশোরীর গায়ে আগুন লাগল, তা উল্লেখ করা হয়নি রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, কিশোরীর মা যখন প্রাথমিক এফআইআর দায়ের করেছিলেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীকে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অপহরণ করে এবং গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মৃত্যুর আগে শুক্রবার, পুলিশ হাসপাতালে ওই কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করে বলেই জানা গিয়েছে।

