নয়া দিল্লি : রাজ্যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই সামনে আসে কয়লা কেলেঙ্কারি। ইতিমধ্যে সেই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই মামলায় শুধুমাত্র শাসক দলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়েছে তাই নয়, সেই সঙ্গে সামনে এসেছে একাধিক আইপিএস অফিসারের নাম। পরপর ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই হাজিরা দিয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও। এবার দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে পৌঁছলেন আর এক আইপিএস সেলভা মুরুগান।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ইডি দফতরে পৌঁছেছেন আইপিএস সেলভা মুরুগান। বর্তমানে তিনি পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। এই নিয়ে পরপর দু দফায় ওই জেলার পুলিশ সুপার পদে রয়েছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ওই পদে ছিলেন সেলভা মুরুগান। পরে ভোটের সময় তাঁকে অন্য জায়গায় সরানো হয়। পরে ফের পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার পদে ফেরেন ওই আইপিএস। তিনি ২০১০ সালের আইপিএস ব্যাচ।
মূলত রাজ্যের পশ্চিমের জেলা গুলির সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কয়লা পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার লোকজন কী ভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে কয়লা পাচার করতেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা। তাই ওই সব জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা ছিলেন বা আছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা।
ইডি সূত্রে খবর, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেই। অভিযোগ, লরি করে কয়লা পাচার হত পুলিশের চোখের সামনেই। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ চাইলেই পাচার আটকাতে পারতেন বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি সূত্রে জানা যায়, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে নাকি টোকেন নম্বর দেওয়া থাকত, আর তা দেখে ছেড়ে দেওয়া হত কয়লার গাড়ি।এ সব অভিযোগ সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ।
মুরুগান ছাড়াও আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং, রাজীব মিশ্র, সুকেশকুমার জৈন, শ্যাম সিং, কোটেশ্বর রাও, তথাগত বসু ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও ইতিমধ্যে হাজিরা দিয়েছেন।