নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লি: কৃষি আইন প্রত্যাহার বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রতিশ্রুতি রেখেছে কেন্দ্র। তাসত্ত্বেও কৃষক আন্দোলন যেন থামতেই চাইছে না। ন্যূনতম মূল্যবৃ্দ্ধি ও আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের দাবিতে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সংসদে জানিয়েছিলেন, কৃষক মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও তথ্য পরিসংখ্যান নেই। এবার সংসদে এই দাবির পাল্টা হিসেবে মৃত কৃষকদের নামের তালিকা তুলে ধরলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মৃত কৃষকদের নামের তালিকা তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্য কর্মসংস্থান ও ক্ষতিপূরণের দাবিতেও সরব হন রাহুল।
লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখতে উঠে রাহুল দাবি করেন, কৃষক আন্দোলনের কারণে ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজের ভুল স্বীকার করে দেশের নাগরিক ও কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ৩০ নভেম্বর কৃষি মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কৃষক বিক্ষোভের সময়ে কত জনের প্রাণ গিয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু আমার কাছে পরিসংখ্যান রয়েছে। আমি লোকসভয়া সেই পরিসংখ্যান পেশ করতে চাই।”
এরপরেই আন্দোলনের কারণে মৃত পঞ্জাবের ৪০০ জন কৃষকের নামের একটি তালিকা দেখান রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন এই মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করেছে পঞ্জাব সরকার। এর পাশাপাশি ১৫২ জন কৃষকের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “হরিয়ানার ৭০ জন মৃত কৃষকের নাম আমার কাছে রয়েছে। আমি চাই কৃষকদের পরিবার তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হন। তাই আমি চাই তাদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাকরিও দেওয়া হোক।”
আগেও, গত ৪ ডিসেম্বর কৃষক মৃত্য নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন তিনি ভুল করেছেন। তাঁর ভুলের কারণেই তিনি সকল দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। ৭০০ জন কৃষককে নিজেদের প্রাণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে। এখনও কেন মৃত কৃষকদের নাম প্রকাশ নিয়ে মিথ্যা বলা হচ্ছে আমি জানি না। তাদের প্রাপ্যটা তাদের দেওয়ার মতো ভদ্রতা কেন নেই সরকারের! ভারত সরকারের উচিৎ ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানো। দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের আচরণ কাম্য নয়। এটা খুবই অপ্রীতিকর, অনৈতিক এবং কাপুরুষোচিত আচরণ।”
কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাহুল বলেছিলেন, “বিক্ষোভের কারণেই এই মানুষগুলি প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা একবারও বলছি না তাদের পরিবারকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আমরা বলছি তাদের ত্যাগের প্রতিদান হিসেবে সরকারের ন্যূনতম সহায়তা করা প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন Farmer Suicide: জাওয়াদ ভাসিয়েছে ক্ষেতের ফসল, উদ্বেগ-ভয়ে আত্মহত্যা ঋণগ্রস্ত আলুচাষির