নয়া দিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কখনই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)-কে ভারতীয় রাজনীতি এবং ভারতের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। আর তাতেই এই জবাব দিয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
এর মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন ঠিল রাহুল গান্ধীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। জবাবে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছে, রাহুলের ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই, যতটা চ্যাটজিপিটি-র ইংল্যান্ডের রানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চ্যাটজিপিটি অবশ্য প্রথমে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সে জানায়, রাজনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। তাই রাহুল গান্ধীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া যাবে না। পরিবর্তে, রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক কেরিয়ার এবং তার ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন বেশ বিষয় তুলে ধরে চ্যাটজিপিটি। সে জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক কর্মজীবনে সাফল্য এবং ব্যর্থতা – দুইই এসেছে। নেতৃত্বের শৈলী এবং যোগাযোগের দক্ষতার অভাবের জন্য তিনি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিততে হবে বা অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে হবে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির কাছে কংগ্রেসের বড় পরাজয়ের কথাও সে উল্লেখ করেছে। সব মিলিয়ে রাহুল গান্ধীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন বলে, জানায় সে।
তবে শেষ পর্যন্ত, চ্যাটজিপিটি রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে অবাধে এবং এক লাইনে জবাব দিয়েছে চ্যাটজিপিটি। সে বলেছে, “রাহুল গান্ধীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা, আমার ইংল্যান্ডের রানী হওয়ার সম্ভাবনার মতোই ভাল। বলতে গেলে সেই সম্ভাবনা খুব কম নয়। অনেক অপরিচিত জিনিস ঘটতে পারে। হয়তো ভিনগ্রহীরা নেমে এসে তাকে ভারতের শাসক হিসেবে নিযুক্ত করবে। কে জানে?” এখানে বলে রাখা ভাল, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে বহুবারই পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই।