জয়পুর: নির্বাচন আসতেই রাজস্থানে ফের শুরু হয়েছে রিসর্ট রাজনীতি। বিধায়ক কেনাবেচা রুখতে রাতারাতি রিসর্টে বন্দি করা হয়েছে কংগ্রেস বিধায়কদের। এবার সেই পথে হেঁটেছে বিজেপিও। একদিকে উদয়পুরের পাঁচতারা রিসর্টে রয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করা, অন্যদিকে জয়পুরের রিসর্টে রয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সারাদিন রিসর্টে বন্দি হয়ে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে উঠেছে কংগ্রেস বিধায়কদের জন্য। সেই কারণেই তাদের মনোরঞ্জন করতে আয়োজন করা হয়েছে ম্যাজিক শো সহ একাধিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের, এমনটাই সূত্রের খবর।
আগামী ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই গত সপ্তাহে কংগ্রেস বিধায়কদের উদয়পুরের রিসর্টে স্থানান্তরিত করা হয় নজরদারির জন্য। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নির্দেশ দিয়েছেন যে কমপক্ষে তিনজন বিধায়ককে রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ী হতেই হবে। বিরোধী দল বিজেপি যাতে কোনও বিধায়ককে প্রলোভন দেখিয়ে দল ভাঙাতে না পারে, সেই কারণেই বিধায়কদের রিসর্টে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজই তারা রাজস্থানে ফেরত চলে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়পুরের তাজ আরাভলি হোটেলে রাখা হয়েছিল কংগ্রেস বিধায়কদের। সেখানে তাঁদের যাতে থাকতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণে একদিকে যেমন বড় বড় রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তেমনই এলাহি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। মনোরঞ্জনের জন্য সিনেমা দেখা, ম্যাজিক শোয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। মোট ১৫০টি রুম বুক করা হয়েছিল। এক একটি রুমের দিন প্রতি খরচই ১০ হাজার টাকা। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিকের মতো শীর্ষ নেতারাও ছিলেন রিসর্টে। তাদের জন্য বিলাসবহুল রুম বুক করা হয়েছিল, যার খরচ দিন প্রতি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৭৮ হাজার টাকা।
কংগ্রেসের দাবি, তাদের সমর্থনে কংগ্রেসের মোট ১২৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। রাজ্যসভার তিনজন সাংসদ নির্বাচনের জন্য ১২৩ জন বিধায়কের ভোট পেলেই চলবে। তবে বিজেপি যাতে নির্বাচনের আগে বিধায়ক কেনা-বেচা শুরু না করে, তার জন্যই বিধায়কদের রিসর্টে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
রিসর্টবন্দি বিজেপির বিধায়করাও-
কংগ্রেসের মতো বিজেপির বিধায়কদেরও জয়পুরের দেবী রতন রিসর্টে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই রিসর্টে ৬০টি রুম বুক করা হয়েছে। এই রুমগুলির খরচ দিন প্রতি ১০ হাজার টাকা।