কোটা: দুপুরেই বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী ও নয় মাসের ছোট্ট ছেলেকে। বিকেল হতেই সামান্য বচসায় রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন স্বামী। কুঠার দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন স্ত্রীকে। তবে এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি, এরপর ৭০-৮০ মিটার টেনে এনে দেহ ফেলে দিতেন মাঝরাস্তায়। নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের কোটায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে খুনের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত সুনীল বাল্মীকি(৪০) এখনও পলাতক। তাঁকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে রহস্য। ডেপুটি পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত রামপুরা পুলিশ স্টেশনে এসে আত্মসমর্পণ করেছে এবং গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। অন্যদিকে রামপুরার স্টেশন হাউস অফিসার জানান, অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেনি। প্রথমে বয়ান দেওয়ার জন্য থানার দিকে এগোলোেও মাঝপথেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরেই সুনীল তাঁর স্ত্রী সীমা (৩৫) ও নয় মাসের ছোট ছেলেকে শ্যালকের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। নয় বছর বয়সী তাঁদের বড় ছেলে ঠাকুমা ও মামার সঙ্গে ওই বাড়িতেই থেকে যায়। জানা গিয়েছে, বিকেলে আচমকাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপরই তিনি কুঠার দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দেহটিকে টেনে এনে রাস্তায় ফেলে দেন। এরইমধ্যে তাঁদের নয় মাসের সন্তানও কোনওভাবে আঘাত পায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
দিন মজুর সুনীলের নামে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।