কোটা: পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে ধর্ষিত হতে হয়েছিল নাবালিকা। উত্তর প্রদেশের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। তবে এবার ঘটনাস্থান ভিন্ন। রাজস্থানে এক আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই অফিসারকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায় এক আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভালটা পুলিশ স্টেশনের অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেক্টর জুগদীশ প্রসাদের (৫৯) বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই যুবতী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তদন্তের ভার ছিল অভিযুক্ত ওই অফিসারের উপরেই।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ছয় মাস বাদেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের অবসর নেওয়ার কথা। গত জানুয়ারি মাসে নির্যাতিতা ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পর থেকেই ওই আধিকারিক ফোন করে তাঁকে উত্যক্ত করতে শুরু করেন। তদন্তের নাম করে তিনি অশালীন নানা মন্তব্য ও অস্বস্তিকারক প্রশ্নও করতেন নির্যাতিতাকে। চলতি সপ্তাহের সোমবার ওই যুবতী গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে। সেই সময় ওই আধিকারিক যুবতীকে বাইরে ডাকেন। নির্যাতিতা বাইরে আসতেই তাঁকে জোর করে বাইকে চাপিয়ে একটি জঙ্গলে নিয়ে যান এবং সেখানে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
এরপর তিনি নির্যাতিতাকে ফের অনুষ্ঠান বাড়ির সামনেই নিয়ে আসেন এবং নির্যাতিতার স্বামীকে দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থান ছেড়ে পালান। ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে গোটা ঘটনা জানালে তারা ভালটা পুলিশ স্টেশন, যেখানে ওই পুলিশকর্মী কর্মরত, সেখানে এসেই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর ঝালাওয়ারের পুলিশ সুপার অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেন। অবসরের পর তাঁর যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তাও আপাতভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৭৬(২)(এ)(আই) ধারা ও জনজাতি/উপজাতি (নৃশংসতা প্রতিরোধ) আইনের অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।