জয়পুর: অপরাধের প্রমাণ লোপাট করার ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়। পুলিশি হেফাজত থেকেও প্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইনের চোখে অপরাধীর মতোই যারা অপরাধের প্রমাণ নষ্ট করেন, তাদেরও সমান অপরাধী বলেই গণ্য হন। কিন্তু অপরাধী যদি কোনও প্রাণী হয়? তবে কাকে শাস্তি দেওয়া হবে? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে (Rajasthan)। পুলিশের দাবি, এক হনুমান (Monkey) খুনের প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। রক্ত মাখা ছুরি, যা খুনের ঘটনার প্রমাণ ছিল, তা চুরি করে পালিয়ে গিয়েছে একটি হনুমান। সম্প্রতিই জয়পুরের ট্রায়াল আদালতে (Jaipur Trial Court) এই তথ্যই জানায় রাজস্থান পুলিশ।
২০১৬ সালে শশীকান্ত শর্মা নামক এক ব্যক্তি চান্দওয়াজির প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মারা যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পরই আত্মীয়রা তদন্তের দাবিতে জয়পুর-দিল্লি হাইওয়ে অবরোধ করেন। পাঁচদিন বাদে পুলিশ রাহুল কান্দেরা ও মোহনলাল কান্দেরা নামক দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় খুনের অভিযোগে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সেই মামলা চলার পর সম্প্রতি অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। আদালত খুনের প্রমাণ চাইলে, পুলিশের তরফে জানানো হয় প্রমাণ চুরি হয়ে গিয়েছে। এক হনুমান এসে ওই রক্তমাখা ছুরি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছ।
পুলিশের দাবি, যাবতীয় প্রমাণ একটা ব্যাগে রাখা ছিল। আদালত কক্ষে সেই ব্যাগও আনা হয়েছিল। সেখানে ওই ছুরিটি ছাড়াও আরও ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ ছিল। কিন্তু আদালতের মালখানায় জায়গা না থাকায়, আদালত কক্ষের বাইরে একটি গাছতলায় ওই ব্যাগটি কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয়েছিল। সেই সময়ই আচমকা গাছ থেকে নেমে একটি হনুমান ব্যাগটি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের এই যুক্তি শুনে আদালতের সবাই অবাক হলেও, তাদের দাবি সত্যিই হনুমান প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে আধিকারিকেরা লিখিত বয়ানেও চুরির ঘটনা বর্ণনা করেছেন।