কোটা: গ্রামের মধ্য এক জনের বাড়িতে ঢুকেছে সাপ। তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। আতঙ্কিক গ্রামবাসীরা চাইছেন ওই সাপকে মেরে ফেলতে। সেই প্রস্তুতি শুরুও হয়েছিল। গ্রামের যুবকরা লাঠি, কাটারি নিয়ে সাপটিকে মারার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময় ওই গ্রামেরই এক বয়স্ক মহিলা ছুটে আসেন। এসেই সাপকে মারতে উদ্যত গ্রামবাসীদের বাধা দেন। এবং নিজেই ঢুকে পড়েন সেই ঘরে, যেখানে সাপ ঢুকেছিল। সেখানে গিয়ে সাপের পাশে বসে পড়েন তিনি। এর পর সাপটিকে কোলেও নেন। কিন্তু সেই সাপ তাঁকে কামড়ায়নি। ওই মহিলার দাবি, তাঁর মৃত সন্তান সাপ রূপে জন্ম নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে এসেছেন। সে জন্যই তিনি গ্রামবাসীদের সাপকে মারতে বাধা দিয়েছেন।
সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের কোটার একটি গ্রামে। সাপকে নিজের ছেলে বলে দাবি করা ওই মহিলার নাম বাদাই বাই। তিনি সাপটিকে শুধু কোলেই নেননি, গলায় জড়িয়েছেন। এমনকি সাপের গায়ে সাদা রঙের একটি দাগ দিয়ে দেন। যাতে সেই সাপকে গ্রামবাসীরা না মারে। এই ঘটনা দেখে স্বাভাবিকভাবেই অবাক গ্রামবাসীরা। ওই মহিলার দাবি, ১৮ বছর আগে তিনি যখন নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়। এর পর তাঁর ছেলে সাপ রূপে তাঁর কাছে ফিরে এসেছেন।
এর পর বিষয়টি নিয়ে একজন সর্প বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সাপের সঙ্গে ওই মহিলার ছবি-ভিডিয়ো অবাক করেছে তাঁকে। ওই সর্প বিশেষজ্ঞের জানিয়েছেন, এই সাপ কারও পোষা। তাই সে মহিলাকে আক্রমণ করেনি। ওই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ওই সাপ ছিল কোবরা গোত্রের।