ইটানগর: চিনের হুমকির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি), অরুণাচল প্রদেশে (Rajnath Singh at Arunachal Pradesh) পরিকাঠামোর উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন, অরুণাচলে সিয়ম সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ৭২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সেতুটি। এর ফলে, চিন সীমান্ত বরাবর যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন, “মোদী সরকার দেশের, বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতে উন্নত এবং মসৃণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উদ্যোগী। এই রাস্তাগুলি কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” সাম্প্রতিক সময়ে সুড়ঙ্গ, সেতু, রাস্তার মতো পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে সীমান্ত এলাকায় চিনকে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে ভারত। সেই প্রচেষ্টাতেই এদিন আরও একধাপ এগিয়ে গেল নয়া দিল্লি।
আলং-ইংকিয়ং রাস্তার উপর অবস্থিত এই ১০০ মিটার দীর্ঘ সিয়োম সেতু। এই সেতু নির্মাণে ক্লাস-৭০ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে আপার সিয়াং, তুতিং এবং ইংকিয়ং এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অঞ্চলে ‘হাউইৎজ়ারে’র মতো ভারী সামরিক যান পাঠানো অনেক সহজ হবে। ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারতীয় সেনা। এদিন এই সেতুর পাশাপাশি বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা বিআরও-র তৈরি আরও ২৭টি পরিকাঠামোগত প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর মধ্যে রয়েছে ২১টি সেতু, তিনটি রাস্তা এবং আরও তিনটি প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলি তৈরি করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, পঞ্জাব এবং রাজস্থানে। সিয়োম সেতু এলাকা থেকেই বাকি প্রকল্পগুলি ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
এক মাসও হয়নি এই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং প্রদেশেই সীমান্ত বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন সেনা। অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে চিন সেনার নজরদারি পোস্ট স্থাপনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। দুই পক্ষের বেশ কিছু সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এদিন সেই অরুণাচল প্রদেশে দাঁড়িয়েই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “ভারত বরাবরই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ভারত কোনওদিন কোনও যুদ্ধের সূচনা করেনি, কোনও দেশের এক ইঞ্চি জমি দখল করেনি। কিন্তু এটাকে দুর্বলতা ভাবা উচিত নয়।”