নয়া দিল্লি: ২৪ ঘণ্টা আগেই পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানায় নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। একদিনের মাথায় পালটা সেই আক্রমণই ফিরিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালের উদাহরণ টেনে তাঁকে সোনিয়া-তনয়কে কটাক্ষ করে রাজনাথকে বলতে শোনা গেল, রাহুল এখনও টেক অফ করতে পারলেন না। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ ক্ষেত্রে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাকেই নিশানায় নিয়েছেন কেন্দ্রের এই বর্ষীয়ান মন্ত্রী।
গত লোকসভা ভোটের আগে থেকেই রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এখনও মাঝে মধ্যেই রাহুলকে সেই নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায়। কিন্তু আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটাই কমে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বৃহস্পতিবার রাজনাথ বলেন, “রাহুল এবং কংগ্রেস রাফাল নিয়ে অযথাই একটা বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কী হল? রাফাল ফ্রান্সে তৈরি হল, এমনকী ভারতে চলেও এল। কিন্তু রাহুলজি এখনও টেক অফ করতে (উড়তে শিখলেন) না।”
ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদকে যে বিজেপি এখনও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় না, তা এ দিনও রাজনাথের মন্তব্যেই ফের একবার স্পষ্ট হয়েছে। রীতিমতো তাচ্ছিল্যের সুরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিরোধীদের সম্মান করা উচিত, “কিন্তু রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে একটা সীমা পর্যন্ত এনার্জি খরচ করা সাজে। যখন কেউ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষর পিছনে পড়ে যায় তখন তার অবস্থা রাহুল গান্ধীর মতো হয়।” বৃহস্পতিবার গুজরাট বিজেপির ওয়ার্কিং কমিটির এক বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে এই মন্তব্যগুলি করেন রাজনাথ।
তাঁর কথায়, গণতন্ত্রে বিরোধিতা করায় কোনও দোষ নেই। কিন্তু শুধুমাত্র বিরোধিতার স্বার্থেই বিরোধিতা করা হচ্ছে। সংসদে সম্প্রতি পেগাসাস ইস্যুতে ঝড় ওঠা নিয়ে, এবং দুই সভা কার্যত অচল হয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন তিনি।
মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনেও এ দিন কংগ্রেসকে তোপ দাগেন রাজনাথ। বলেন, “গান্ধীজি প্রায়শই বলতেন যে দেশে আইন বা নীতি তৈরির সময় যেন সর্বদা খেয়াল রাখা হয় যে সমাজের সবচেয়ে নীচু স্তরে থাকা ব্যক্তিও এর দ্বারা লাভবান হন। দল হিসেবে কংগ্রেস গান্ধীজির নাম চুটিয়ে ব্যবহার করেছে, এমনকী গান্ধী পদবীও আপন করে নিয়েছে। কিন্তু গান্ধীজির প্রদর্শিত পথ তারা ত্যাগ করেছে। বিজেপি এবং তার আগে জনসঙ্ঘের জমানায় আমাদের মূল উদ্দেশ্যই থেকেছে কী ভাবে সমাজের নীচু শ্রেণির মানুষের উন্নয়ন করা যায়। করোনার সময় যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গরিব মানুষদের অন্ন সুরক্ষার কথা ভেবেছেন, সেটাই আমাদের দলের সংবেদশীলতা প্রমাণ করে। কংগ্রেসের যতগুলি সরকার এসেছে তারা দেশের কল্যাণ না করে নিজেদের কথা ভেবেছে, এমনকী দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে স্বাধীন প্রতিষ্ঠাগুলিকে ধ্বংস করেছে।” আরও পড়ুন: আল কায়দার বিশ্বব্যাপী জেহাদের তালিকায় কাশ্মীর! ISI-এর কলকাঠি দেখছে নয়া দিল্লি