নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লির ঐতিহাসিক ‘রাজপথ’ এবং ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা লন’, অর্থাৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পুরো রাস্তাটির নতুন নামকরণ করা হচ্ছে। এখন থেকে এই রাস্তার নাম হবে কর্তব্য পথ’। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে, লালকেল্লা থেকে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ঔপনিবেশিক মানসিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতীকগুলি বিলুপ্ত করার উপর জোর দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে এই নয়া নামকরণ সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক। একইসঙ্গে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করার সময়ে ভারতকে বিশ্বগুরু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সকল নাগরিককে নিজেদের কর্তব্য পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেই আহ্বানকেও স্মরণ করিয়ে দেয় এই নয়া নামকরণ।
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্গঠন প্রকল্পের অংশ হিসাবে বিজয় চক থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রসারিত এলাকার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধনের দিন দর্শনার্থীদের ইন্ডিয়া গেট থেকে মান সিং রোড পর্যন্ত এলাকায় যেতেও দেওয়া হবে না। তবে, প্রকল্প এলাকার বাকি অংশে তারা ভ্রমণ করতে পারবেন। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো এলাকাটিই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
রাজপথের ধারে সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউতে দেশের প্রতিটি রাজ্যের খাবারের স্টল থাকবে। এছাড়া, এখানে সবুজ এবং লাল গ্রানাইট পাথরে তৈরি হাঁটা পথ, ভেন্ডিং জ়োন, পার্কিং লট থাকছে। প্রকল্পের কার্যনির্বাহী সংস্থা, সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট মোট পাঁচটি ভেন্ডিং জ়োন স্থাপন করেছে। প্রতিটিতে ৪০ জন করে বিক্রেতাকে কেনাকাটা অনুমতি দেওয়া হবে। বাগান এলাকায় দর্শকদের কোনও পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ইন্ডিয়া গেট থেকে মান সিং রোড পর্যন্ত এলাকায় কোনও খাবার খাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হবে না। ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টাই মোতায়েন থাকবেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
এর আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নাম ও প্রতীক বাতিল করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান মেনে নৌবাহিনীর পতাকা পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই প্রথম দেশিয়ভাবে তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রা শুরুর সময়ই এই পরিবর্তন করা হয়েছে। তারও আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন যে রাস্তায় রয়েছে তারও নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। আগে রাস্তাটির নাম ছিল রেসকোর্স রোড। নয়া নাম হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ।