নয়া দিল্লি: আজ, শুক্রবার হতে চলেছে রাজ্যসভার নির্বাচন। আগামী মাসেই দেশের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্য়েই ৪১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ লড়াই হবে মোট ১৬টি শূন্যপদ পূরণের জন্য। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান ও হরিয়ানা মিলিয়ে এই ১৬টি শূন্য়পদে নির্বাচন হতে চলেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য়-
১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভায় মোট ৫৭টি আসন রয়েছে। এরমধ্য়ে ২৩টি আসনই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির দখলে রয়েছে। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৮টি আসন। বাকি আসনগুলি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দখলে রয়েছে। জুন থেকে অগস্ট মাসের মধ্যে রাজ্যসভার যে সকল সদস্যরা অবসর গ্রহণ করছেন, সেই শূন্যপদগুলি পূরণের জন্যই এই নির্বাচন হতে চলেছে।
কারা অবসর গ্রহণ করবেন?
চলতি বছরে রাজ্য়সভা থেকে যারা অবসর গ্রহণ করছেন, তারা হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নাকভি, কংগ্রেসের অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ, কপিল সিব্বল, সতীশ চন্দ্র মিশ্র প্রমুখ।
রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যা-
সংসদের উচ্চকক্ষে মোট ২৪৫ সদস্য রয়েছেন। এরমধ্যে বিজেপির ৯৫ জন সাংসদ ও কংগ্রেসের ২৯ জন সাংসদ রয়েছেন।
কোন কোন রাজ্যে হবে জোর লড়াই-
মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান ও হরিয়ানা মিলিয়ে মোট ১৬টি আসনের জন্য নির্বাচন হবে। এছাড়া পঞ্জাব, হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড ও তেলঙ্গানাতেও একটি বা দুটি করে আসন ফাঁকা রয়েছে। এরমধ্যে জোর লড়াই হতে চলেছে মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রেই। সেখানে ‘বিধায়ক চুরি’র ভয়ে নির্বাচনের আগেই বিধায়কদের রিসর্ট বন্দি করা হয়েছে।
রাজ্যসভা নির্বাচনে সর্বাধিক শূন্য আসন রয়েছে উত্তর প্রদেশে। সেখানে মোট ১১টি শূন্যপদ রয়েছে। তালিকায় এরপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু। দুই রাজ্যেই শূন্যপদের সংখ্য়া ৬। বিহারের ৫টি আসন, কর্নাটক, রাজস্থান ও অন্ধ্র প্রদেশে ৪টি করে শূন্য আসন রয়েছে। মধ্য প্রদেশ ও ওড়িশাতেও তিনটি করে শূন্য আসন রয়েছে। পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, ছত্তীশগঢ় ও তেলঙ্গানায় ২টি করে এবং উত্তরাখণ্ডে ১টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
নির্বাচনের উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থী-
এবারের রাজ্যসভা নির্বাচনে যে প্রার্থীদের উপরে বিশেষ নজর থাকবে, তাঁরা হলেন নির্মলা সীতারামন, পিযূষ গয়াল, রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা, জয়রাম রমেশ, মুকুল ওয়াসনিক, সঞ্জয় রাউত প্রমুখ।