নয়া দিল্লি: অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) নিশানায় পড়েছিলেন রামদেব। একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল রামদেবের বিরুদ্ধে। তাই সব এফআইআর স্থগিত রাখার ও মামলাগুলিকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করলেন তিনি।
গত মাসে একটি ভিডিয়োয় রামদেবকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অ্যালোপ্যাথিক একটি দেউলিয়া বিজ্ঞান। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার কারণেই হয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্য যে দেশের গোটা চিকিৎসক সমাজ এবং সংগঠনের জন্য চরম অবমাননাকর বলে দাবি ওঠে শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠনের তরফে। তিনি আগেও এই ধরনের একাধিক ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করে আইএমএ। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের মন্তব্য যাতে গ্রাহ্য না করা হয় সেই কারণে মহামারি আইন কাজে লাগিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের-সহ বাবা রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবি করে চিকিৎসকদের সংগঠন। এরপর রামদেবকে মন্তব্য প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও। তারপর ক্ষমা চান রামদেব।
চিঠিতে রামদেব লেখেন, “আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অ্যালোপ্যাথির বিরোধী নই। আমি মনে করি জীবনরক্ষা এবং শল্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথি অনেক উন্নতি করেছে এবং মানব সেবায় কাজ করছে। আমার যেই বক্তব্যটি উদ্ধৃত করা হয়েছে, তা একজন কর্মীদের বৈঠকের বক্তব্য, যেখানে আমি হোয়াটসঅ্যাপে আসা একটি সংবাদ পড়ে শোনাচ্ছিলাম। এই বক্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য আমি দুঃখিত।”
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, আদালতে গড়ায় মামলা। রামদেবের বিরুদ্ধে একাধিক রাজ্যে এফআইআর দায়ের করে সেখানকার চিকিৎসক সংগঠন। সেই সব মামলা স্থগিত করা ও সব এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রামদেব।
আরও পড়ুন: বেশি সন্তান থাকলে পাওয়া যাবে ১ লক্ষ টাকা! আজব ঘোষণা মন্ত্রীর