নয়া দিল্লি : এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি, তার আগেই প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত অসম। আর এরই মধ্যে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী দু দিন সেই বৃষ্টির পরিস্থিতি জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একদিকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অসম, মেঘালয় জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে শুধু মেঘালয়ে। এ ছাড়া চেরাপুঞ্জিও হয়েছে ৪২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত। অসমের ট্যাংলায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, কোকরাঝাড়ে ১৯ সেন্টিমিটার, বাহালপুর ও বরপেটায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি, আবার কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শুধু বৃষ্টিই নয়, বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়ের সম্ভাবনার কথাও বলেছে মৌসম ভবন।
বুধবার পর্যন্ত মেঘালয়ে জারি থাকবে কমলা সতর্কতা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া জলীয় বাষ্প উত্তর-পূর্ব ভারতের ওপর দিয়ে যাচ্ছে বলেই এই বৃষ্টি হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টি-তে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে পাঁচ জন এবং অসমে মোট দু জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কাছাড় জেলায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যা ও ভূমি ধসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ হাফলং স্টেশন। স্টেশনটি সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে। এমনকি ভূমিধসের কারণে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি ট্রেন লাইন থেকে ভেসে যাচ্ছে, এমন ছবিও ধরা পড়েছে। দু’টি ট্রেনের প্রায় ২ হাজার ৮০০ যাত্রীকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। গত দুই দিন ধরে দিমা হাসাও -র লুমডিং-বদরপুর সেকশনে ভূমিধস এবং রেল লাইনে জলের কারণে আটকে পড়েছিলেন বহু মানুষ। নিবার থেকে অসমের বারাক উপত্যকাও কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধার কাজ চালাতে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ।