নয়া দিল্লি: ১ মে থেকে করোনার (COVID-19) ভ্যাকসিন পাবেন ১৮ বছর বয়সী বা তার ঊর্ধ্বরা। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তার নাম নথিকরণের প্রক্রিয়া। আগাম নাম নথিভুক্ত করা না থাকলে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে না। রবিবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অর্থাৎ সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে ওয়াক-ইন ভ্যাকসিনেশনের সুবিধা পাবেন না এই বয়সসীমার টিকাগ্রাহকরা। কোউইন পোর্টাল কিংবা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত থাকলে তবেই টিকা দেওয়া হবে তাঁদের।
১ মে থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। এই দফায় বাকিদের সঙ্গে টিকা পাবেন ১৮ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সীরাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়ে দিয়েছেন, এ দফার টিকাকরণে কোন কোন নয়া নিয়ম যুক্ত হচ্ছে। সেখানেই বলা হয়েছে, এই বয়সের মধ্যে যাঁরা টিকা নেবেন, তাঁরা কোনওভাবেই ওয়াক-ইন ভ্যাকসিনেশনের জন্য উপযুক্ত নন। নাম আগাম রেজিস্ট্রেশন থাকলেই মিলবে টিকা। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে যোগ্য নাগরিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। কোউইন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নাম তোলা যাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমেও। একইসঙ্গে টিকাকরণ চলবে প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং যাঁদের বয়স পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে হিমশিম বাংলা, করোনা রোগীর সঙ্গে একই ওয়ার্ডে বাড়ির লোকও
ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি কত টাকা খরচ করে ভ্যাকসিনের ডোজ কিনতে পারবে তার একটা তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। দু’টি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের করোনা টিকার দাম বেঁধে দিয়েছে। কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারক দ্য সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ৪০০ টাকায় তারা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় বিক্রি করবে রাজ্যকে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে দাম পড়বে ৬০০ টাকা। ভারত বায়োটেকও রাজ্যকে কোভ্যাক্সিন দেবে ৬০০ টাকা মূল্যে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কিনতে হবে ১২০০ টাকা দিয়ে।