নয়া দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাননি। এটি আসলে সত্য নয়, বরং গুজব। এই ধরনের একটি গুজব ছড়িয়েছিল। এবার নিজের হ্যান্ডেলে টুইট করে একথা জানালেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তিনি বলেন, “বাংলায় একটি গুজব ছড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি আমার সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন। আমি এটাই স্পষ্ট করতে চাই আমার তাঁর সঙ্গে এই ধরনের কোনও কথাই হয়নি। আজকেও নয়, কোনওদিনও নয়।”
সোমবার সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে বাংলায় আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সোমবার সন্ধ্যাবেলা রাজভবনে যান রেখা। কথা বলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে সকালে বাংলায় আসা মাত্রই সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রেখা শর্মা। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
সন্দেশখালি ইস্যুতে রেখা শর্মা বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টা অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’ সন্দেশখালি থানাতে গিয়েও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেখা শর্মা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সন্দেশখালিতে গিয়ে বাধা মুখে পড়়েন জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। তাঁরা সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সন্দেশখালি ঢোকার মুখেই পুলিশি বাধা মুখে পড়ে ফেরত আসতে হয় তাঁদের। এরপর সেখান থেকে ফিরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালির পরিস্থিতির গোটা বিবরণ দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কিন্তু তিনি রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার আগেই একটি গুজব রটে, তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সন্দেশখালির বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সময় দেননি। কিন্তু পরদিনই রেখা শর্মা পোস্ট করে জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনও কথাই তাঁদের মধ্যে নেই।