নয়া দিল্লি: শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি), ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে কালো রথে চড়ে কর্তব্য পথে আসেন তিনি। আর তাঁর উপস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও শক্তিশালি হল। বিশেষ করে দুই দেশের মানুষে-মানুষে সম্পর্ক আরও জোরদার হল। চলতি বছরে ফ্রান্সের ৪ নাগরিককে দেওয়া হল ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, পদ্মশ্রী। বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা বন্যা চৌধুরীদের মতো আরও কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও এই বছর পদ্ম পুরস্কার পাচ্ছেন। তবে, কোনও একটি দেশ থেকে চারজন এই পুরস্কার পাচ্ছেন, এমন নিদর্শন নেই। যে চার ফরাসী নাদরিক পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁরা হলেন শার্লট শপিন, কিরণ ব্যাস, পিয়ের সিলভাইন ফিলিওজ্যাট এবং ফ্রেড নেগ্রিট।
শার্লট শপিন: ফ্রান্সের শতায়ু এই ব্যক্তি একজন যোগ প্রশিক্ষক। সাধারণভাবে মনে করা হয় যোগব্যায়ামের অনুশীলন শুরু করা উচিত অল্প বয়সেই। কিন্তু শার্লট শপিন যোগব্যায়াম শিখেছিলেন ৫০ বছর বয়সে। এই বিষয়ে তিনি বয়সের সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেছেন।
কিরণ ব্যাস: কিরণ ব্যাস যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আয়ুর্বেদ চর্চার জন্যও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তিনি তপোবন ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতাও বটে।
পিয়ের সিলভাইন ফিলিওজ্যাট: পিয়ের সিলভাইন ফিলিওজ্যাট, ফ্রান্সের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত এবং অধ্যাপক। ৮৭ বছরের এই অধ্যাপক, ভারতীয় সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য বিখ্যাত।
ফ্রেড নেগ্রিট: ফরাসি নাগরিক ফ্রেড নেগ্রিট একজন বিখ্য়াত ইন্দোলজিস্ট, অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চাকারী। একইসঙ্গে এই বিষয়েরও শিক্ষকও তিনি। ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে, এই নিয়ে ষষ্ঠবার কোনও ফরাসি নেতা প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিলেন। এদিন ম্যাক্রঁর সামনে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ৯৫ সদস্যের ফরাসী সামরিক দলের কন্টিজেন্ট এবং ৩০ সদস্যের ফরাসী সেনার ব্যান্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেই কুচকাওয়াজের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে ম্যাক্রঁ লিখেছেন, “এটা ফ্রান্সের জন্য একটা বড় সম্মান। ভারত, তোমায় ধন্যবাদ।” প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ভারতের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ম্যাক্রঁ। এক্সে লিখেছেন, “আমার প্রিয় বন্ধু নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনগণ, আপনাদের প্রজাতন্ত্র দিবসে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল। এই দিনে আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি এবং গর্বিত। আসুন উদযাপন করি!” ম্যাক্রঁ আরও বলেছেন, এই উপলক্ষে তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি সম্মানিত। এই আমন্ত্রণকে তিনি বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তিনি আরও বলেছেন, দুই দেশের একসঙ্গে অনেক কাজ করার আছে। বৃহস্পতিবার, জয়পুরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ম্যাক্রঁ।