নয়া দিল্লি : সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। আগামিকালই লোকসভায় কৃষি আইনসমূহ প্রত্যাহার বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। আর এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াচ্ছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait) রবিবার কেন্দ্রকে ফের একবার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “ভারত সরকারের উচিত তার পদ্ধতিগুলি সংস্কার করা এবং ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিশ্চিত করতে একটি আইন আনা উচিত।” অন্যথায় তিনি পরের বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে একটি বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত আজ মুম্বইতে অনুষ্ঠিত এক কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের আগে বলেন, “দেশের কৃষকরা বিগত এক বছর ধরে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ২৬ জানুয়ারি বেশিদিন বাকি নেই। চার লাখ ট্রাক্টর এবং কৃষক প্রস্তুত রয়েছে।” কৃষক নেতাদের কাছে কৃষি আইন প্রত্যাহার হল কেবল আংশিক সাফল্য। তাদের অন্যান্য দাবিগুলির মধ্য রয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে একটি আইন প্রণয়ন, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার এবং লখিমপুর খেরি হিংসার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে গ্রেফতার করা।
#WATCH | In Mumbai, BKU leader Rakesh Tikait says, “Govt of India should mend its ways and bring a law on MSP. Otherwise, January 26 (Republic Day) is not far, and 4 lakh tractors & farmers all are there.” pic.twitter.com/sBMoJ9N1rI
— ANI (@ANI) November 28, 2021
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে, দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে সম্মিলিত কৃষক শ্রমিক মোর্চা (SSKM)-র ব্যানারে একটি বড় কৃষক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই কিষাণ সভায় রাকেশ টিকাইত বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এবং তাদের থেকে প্রতিনিয়ত সতর্ক থাকা দরকার। সরকার এখনও কথা বলার অবস্থানে আসেনি। এই ব্যবস্থা অসৎ এবং প্রতারণামূলক।” রাকেশ টিকাইত বলেন, “সরকারের উচিত এমএসপি নিয়ে একটি গ্যারান্টি আইন করা। আমরা এখনও সেখানে (দিল্লিতে) আছি। ২৬ জানুয়ারি খুব বেশি দূরে নয়। দেশের ৪ লাখ ট্রাক্টর ও কৃষকরাও রয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait) জানিয়েছেন, সম্প্রতি তারা কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কেন্দ্র তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করতে রাজি নয়, কারণ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পেলে কৃষকদের লাভ হবে। হায়দরবাদে এক সাংবাদিক সম্মলনে টিকায়েত বলেন, “আমরা কিছুদিন আগেই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি, কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাইনি। সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কথা বলতে রাজি নয়, কারণ এতে দেশের সব কৃষকই লাভবান হবেন।”