Omicron: চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন! আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্র
COVID 19 New Variant : সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ওমিক্রনের সংক্রমণের হদিশ মিলতেই সেই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার পথে হাঁটছে কেন্দ্র।
নয়া দিল্লি: আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল, তাতে ফের লাগাম পরাতে পারে কেন্দ্র। করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের হদিশ মিলতেই ফের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। গতকালের করোনা পর্যালোচনা বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যে দেশগুলিকে ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে রবিবার কেন্দ্র, বিশেষ করে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলির সঙ্গে আগত যাত্রীদের পরীক্ষা এবং নজরদারির বিষয়ে এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা পুনরায় স্বাভাবিক করার বিষয়ে পরিকল্পনাগুলি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উদ্বেগের নাম ‘ওমিক্রন’।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার সভাপতিত্বে এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে এই পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি সূত্র। দীর্ঘ ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ওমিক্রনের সংক্রমণের হদিশ মিলতেই সেই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার পথে হাঁটছে কেন্দ্র।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র এখন আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা এবং নজরদারির বিষয়ে বর্তমান এসওপি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকাভুক্ত দেশগুলির উপর বাড়তি নজর রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এর পাশাপাশি কোভিড – ১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসে জিনোমিক নজরদারি আরও তীব্র করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরেই আর দেরি না করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানে আগত যাত্রীদের বিস্তারিত ভ্রমণ ইতিহাস পর্যালোচনা করতে এবং “ঝুঁকিপূর্ণ” দেশগুলির যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে। কোভিড-পজিটিভ পরীক্ষা করে এমন সমস্ত নমুনা অবিলম্বে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো উচিত, মন্ত্রক বলেছে।
স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের তরফে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, সেগুলি হল আন্তর্জাতিক যাত্রীদের উপর কড়া নজরদারি, করোনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধি, সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল বা হটস্পটগুলির উপর নজরদারি, দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিংযের জন্য নমুনা পাঠানো ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ভ্রমণের ইতিহাস বের করার জন্য আগে থেকেই একটি ব্যবস্থাপনা রয়েছে, রাজ্য়গুলি যেন সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই যাত্রীদের চিহ্নিতকরণ ও প্রয়োজনীয় রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।