Tamil Nadu Rains: অতি ভারী বৃষ্টির জের, চেন্নাই সহ সাত জেলায় বন্ধ স্কুল-কলেজ

Schools and Colleges closed in Chennai: সোমবারও তিরুনেলভেলি এবং কন্যাকুমারী জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রামনাথপুরম এবং থুথুকুডি জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

Tamil Nadu Rains: অতি ভারী বৃষ্টির জের, চেন্নাই সহ সাত জেলায় বন্ধ স্কুল-কলেজ
তামিলনাড়ুর সাত জেলায় বন্ধ স্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2021 | 8:09 PM

চেন্নাই : ভারী বৃষ্টি। আর তার জেরেই আগামিকালের জন্য তামিলনাড়ুর সাত জেলায় সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবারও তিরুনেলভেলি এবং কন্যাকুমারী জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রামনাথপুরম এবং থুথুকুডি জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

“খুব ভারী” বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি জেলা কিছুটা রেহাই পেয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চেন্নাইতে মাত্র ৬.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। কন্যাকুমারীতে বৃষ্টি হয়েছে ৪ মিমি, নাগাপট্টিনমে হয়েছে ১৭ মিমি, থুথুকুডি ০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া থিরুচেন্দুরে ১১ মিমি এবং কোডাইকানাল ১৫ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।

চেন্নাই সহ তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে একটানা ভারী বৃ্ষ্টির জেরে কার্যত বন্য়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরেই রেকর্ডভাঙা বৃষ্টি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। এর আগে ২০১৫ সালে সর্বাধিক বৃষ্টির রেকর্ড থাকলেও আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি পড়লে সেই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।

দুই দিন আগে আবহাওয়া বিভাগ রাজ্যের পাঁচটি জেলার জন্য ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা জারি করেছিল। যার পরে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তখন ২২ টি জেলায় স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

অবিরাম বর্ষণ তামিলনাড়ু বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। বাড়ি এবং রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় জল জমে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

একটানা বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে রাজ্য়ের জলাধারগুলিও। চেন্নাই থেকে ত্রিচি সংযোগকারী একটি রাস্তা শনিবারই বন্ধ করে দেওয়া হয় পাঁচটি জলাধার থেকে জল উপচে বেরিয়ে এসে হাইওয়ে প্লাবিত করার জন্য। চেঙ্গালপাট্টু জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।  দীর্ঘক্ষণ রাস্তা বন্ধ থাকার পর দু-একটি রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের জলাধারগুলি পরপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে জল উপচে বের হচ্ছে। ফলে আশেপাশের গ্রামগুলি প্লাবিত হচ্ছে। প্রায় ৫০০-রও বেশি পরিবার প্রভাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসককেও খবর দেওয়া হয়েছে এবং তিনি দ্রুত উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করছেন বলে জানিয়েছেন।

রাজ্যের নীচু জায়গাগুলি প্রায় সম্পূর্ণই জলে নিমজ্জিত হয়েছে। সেখানে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। প্রশাসনের তরফে এখনও অবধি প্রায় তিন হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকায় বাড়িতে সাপ ঢুকে যাওয়ায় নতুন সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।’

আরও পড়ুন : Omicron: চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন! আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্র