উত্তরকাশী: বদ্ধ ২০০ মিটার জায়গা, সেখানেই কেটেছে ১৭টি দিন। খাওয়া, ঘুম আর হাঁটাহাঁটি করা ছাড়া সুড়ঙ্গের ভিতরে কিছুই করার ছিল না ৪১ শ্রমিকের। গত ১২ নভেম্বর, দীপাবলির দিন উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ১৭ দিন পর, ২৮ নভেম্বর তারা মুক্তি পেলেন। এই দিনটিই তাঁদের কাছে দীপাবলি। এখন অপেক্ষা শুধু বাড়ি ফেরার। পরিবার, পরিজনদের সঙ্গে দেখা করা ও কথা বলার। তবে মনে গেঁথে গিয়েছে ১২ নভেম্বরের সেই বিভীষিকার স্মৃতি। কাজ করার সময় কীভাবে ভেঙে পড়েছিল সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের একাংশ, উদ্ধার হওয়ার পর তাই-ই বর্ণনা করলেন বিশ্বজিৎ কুমার ভর্মা নামক এক শ্রমিক।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, “আমরা কাজ করছিলাম। হঠাৎই পিছন থেকে ধসে পড়তে থাকে সুড়ঙ্গের ছাদ। যখন পাথর-মাটি ভেঙে পড়ছিল, আমরা তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে ভিতর আটকে পড়েছি আমরা।”
#WATCH | First exclusive byte of rescued worker, Vishwajeet Kumar Verma, who narrates his 17-day ordeal of being trapped in the Silkyara tunnel
“When the debris fell, we knew that we were stuck. For the first 10-15 hours we faced difficulty. But later, a pipe was put in to… pic.twitter.com/65X4afMVvB
— ANI (@ANI) November 29, 2023
কীভাবে কেটেছিল সুড়ঙ্গের ভিতরের দিনগুলি? তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “আটকে পরার পর প্রথম ১০-১৫ ঘণ্টায় আমাদের সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢোকানো হয়। ওই পাইপ দিয়ে আমাদের ভাত, ডাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল। পরে একটি মাইকও বসানো হয়। ওই পাইপ দিয়েই আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি।”
উদ্ধার হওয়ার পর বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, “আমি খুব খুশি। এবার আমি দীপাবলি উদযাপন করব।”
#WATCH | Subodh Kumar Verma, a worker rescued from the Silkyara tunnel, thanks the Central and State governments for their efforts to bring out all 41 men safely
“The first 24 hours were tough but after that food was provided to us through a pipe. I am absolutely fine and in… pic.twitter.com/ocfBxF2HZl
— ANI (@ANI) November 29, 2023
একই প্রতিক্রিয়া সুবোধ কুমার ভর্মা নামক আরেক শ্রমিকেরও। তিনি কেন্দ্রীয় ও উত্তরাখণ্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানান দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে আনার জন্য। সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, “সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়ার পর প্রথম ২৪ ঘণ্টা আতঙ্কে কেটেছিল। ওই ২৪ ঘণ্টা খুব কঠিন ছিল। পরে আমাদের পাইপের মাধ্যমে খাবার পাঠানো হয়। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি।”