নয়া দিল্লি: ফিরছে করোনার স্মৃতি। চিনে করোনার মতোই মহামারির আকার নিতে চলেছে অজানা নিউমোনিয়া। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে এই ফুসফুসের সংক্রমণে। বেজিং সহ উত্তর চিনের একাধিক প্রদেশে ইতিমধ্য়েই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, চিনের সংক্রমণ বাড়তেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা, দেশের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এবার বিভিন্ন রাজ্যের তরফেও সতর্কতা জারি করা হল। রাজস্থান, কর্নাটক, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড ও তামিলনাড়ু সরকারের তরফেও সতর্কতা জারি করা হল। রাজ্য সরকারগুলি সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
রাজস্থান, কর্নাটক, গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ফুসফুসের সংক্রমণ সেরকম উদ্বেগজনক না হলেও, স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রামক রোগ যাতে না ছড়ায়, তার দিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ও মেডিসিন বিভাগেও চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
কর্নাটক স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্যবাসীকে মরসুমি ফ্লু থেকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার মতোই হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢাকা, নিয়মিত হাত ধোয়া, মুখে হাত দেওয়া এড়ানো ও ভিড় জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঋষিকেশ পটেল জানান, করোনাকালে যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, চিনের অজানা নিউমোনিয়া সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তা আরও মজবুত করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফেও আধিকারিকদের ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। যেহেতু চামোলি, উত্তরকাশী ও পিথোরাগড়ের সঙ্গে যেহেতু চিনের সীমান্ত রয়েছে, তার জন্য এই জেলাগুলিতে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।