আরজি কর মামলার তৃতীয় দিনের শুনানিতে নতুন রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি। সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের দাবি মেনে কী কী ব্যবস্থা নেবে, তা উল্লেখ করেছেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল।
আইনজীবী না থামায় প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ধমক দেন। বলেন, “শুনুন আমার কথা। আই অ্যাম সরি… আমার কথা আগে শুনুন, নাহলে আদালত থেকে বের করে দেব।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘আপনাকে এখনি আদালত থেকে বার করে দেব’, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা বলতেই ধমক CJI-এর
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী নির্দেশ (কাজে ফেরার নির্দেশ) বহাল থাকছে, পরিবর্তন করা হচ্ছে না। তাঁর নির্দেশ কার্যকর করবেন কীভাবে, চিকিৎসকদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘এখন নয়, গ্যারান্টি দিলেই কাজে ফিরব’, সুুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট সওয়াল জুনিয়র ডাক্তারদের
ইন্দিরা জয়সিং (চিকিৎসকদের আইনজীবী): ক্রাইম সিনে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। চাইলে আমরা নাম দিতে পারি। সিবিআইকে সিলড খামে দিতে পারি। আমরা তা ওপেন কোর্টে বলব না।
আইনজীবী: দুটো সিজার লিস্ট থাকা উচিত। বারবার বলা হয়েছে জিন্স এবং আন্ডার গার্মেন্টস নেওয়া হয়নি। কখন এই স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে?
প্রধান বিচারপতি: সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টে যা জানিয়েছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আপনি যা জানাচ্ছেন, সেটাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আমরাও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। স্টেটাস রিপোর্টে আমাদের সব জানানো হয়েছে।
সলিসিটর জেনারেল: Wikipedia-তে এখনও নির্যাতিতার নাম ও ছবি রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: আমরা এই বিষয়ে নির্দেশ দেব। নাম ও ছবি থাকতে পারে না।
কাউন্সেল: আমরা Wikipedia-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, যে সেন্সর করা যাবে না।
সলিসিটর জেনারেল: এটা সেন্সর করার বিষয় নয়। অপরাধ না করার কথা বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: আমরা বিষয়টি দেখছি।
আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলায় প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর গত শনিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হতে পারে শীর্ষ আদালতে।