নয়া দিল্লি: ফের একবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শেষ করে কাজে ফিরতে অনুরোধ সুপ্রিম কোর্টের। একইসঙ্গে কাজে যোগ দেওয়ার পর আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ যেন না করা হয়, তা নিশ্চিত করার আশ্বাসও দেওয়া হয় শীর্ষ আদালতের তরফে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ। শুধু কলকাতার চিকিৎসকরাই নন, প্রতিবাদে পথে নেমেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরাও। ‘তিলোত্তমা’র সুবিচারের দাবিতে এবং হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ফের একবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন জানানো হল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “ওদের (চিকিৎসক) কাজে ফিরতে দিন..আমরা জেনারেল অর্ডার পাস করব। চিকিৎসকরা কাজে ফিরলে, তাদের বিরুদ্ধে যাতে কোনও পদক্ষেপ না করা হয়, তা আমরা দেখব। যদি চিকিৎসকরা কাজে না ফেরেন, তবে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কীভাবে চলবে?”
এ দিন মামলার শুনানির শুরুতেই চিকিৎসকদের তরফে হাজির আইনজীবী শীর্ষ আদালতে জানান যে কর্মবিরতিতে সামিল চিকিৎসকদের নিশানা বানানো হচ্ছে। অনেককেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না বা তাদের ছুটি কাটা হচ্ছে। সকালে আন্দোলনে সামিল হয়ে, ফের ডিউটিতে যোগ দিলেও জরিমানা করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা, যারা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে, তারা কখনও এমন কিছু করবেন না”। এর প্রেক্ষিতেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে শীর্ষ আদালতের আশ্বাস চিকিৎসকদের কিছুটা ভরসা দেবে।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, “চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলে, কর্তৃপক্ষ যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তা নিশ্চিত করব আমরা। তবে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে হবে। নাহলে যাদের পরিষেবার প্রয়োজন, তারাই বঞ্চিত হবেন। এটাই চিন্তার। চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দিলে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কীভাবে কাজ করবে? চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। যদি এরপরও কোনও সমস্যা হয়, তবে ফের আদালতে আসুন।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)