নয়া দিল্লি: আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব প্রয়াত হলেন। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শরদ যাদবের মেয়ে সুভাষিনী যাদব টুইট করে বাবার মৃত্যুর খবরটি দেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, পাপা আর নেই। এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। শরদ যাদবের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে ভূুগছিলেন ৩ বারের সাংসদ শরদ যাদব। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট অবনতি হওয়ায় তাঁকে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে সেই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরজেডি নেতা শরদ যাদবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “শরদজি-র প্রয়াণে ব্যথিত। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সাংসদ ও মন্ত্রী হিসাবে নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। ডা. লোহিয়া আদর্শে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা সর্বদা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।” টুইটের শেষে প্রবীণ রাজনীতিকের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “ওম শান্তি।”
Pained by the passing away of Shri Sharad Yadav Ji. In his long years in public life, he distinguished himself as MP and Minister. He was greatly inspired by Dr. Lohia’s ideals. I will always cherish our interactions. Condolences to his family and admirers. Om Shanti.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 12, 2023
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই মধ্যপ্রদেশের হোসঙ্গাবাদ জেলার ববাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শরদ যাদব। মধ্য়প্রদেশে জন্ম হলেও বিহারের নেতা হিসাবেই তিনি পরিচিত। বিহারেই তাঁর রাজনৈতিক জীবন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শরদ যাদব। ৩ বারের সাংসদ শরদ যাদব অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি জেডি (ইউ) দলের সভাপতি হন। তারপর লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন। ২০০৯ সালে বিহারের মাধেপুরা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলে নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তাঁকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কৃতও করা হয়। ২০১৮ সালে তিনি লোকতন্ত্র জনতা দল হিসাবে একটি পার্টি গঠন করেন। আবার ২০২০ সালে তিনি বিহারে নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।