Road Safety: জেব্রা ক্রসিংয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে কী সুবিধা পাবেন পথচারী?
Zebra Crossing: ভারতের মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট, ১৯৮৮ পরিষ্কার বলছে, জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে গাড়িকে থামতেই হবে। পথচারীর সুরক্ষা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সুরক্ষা লঙ্ঘিত হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার পথচারীর আছে।

ভারতের রাস্তায় পথচারীর নিরাপত্তা একটি বড় বিষয়। কারণ, আমাদের দেশে অনেক সময়ই অনেক গাড়িই সিগন্যাল মানে না। কিন্তু আপনি একজন পথচারী হিসাবে সব সময় জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে রাস্তা পারাপার করেন তো? যদি তা না করেন, তাহলে কিন্তু আপনার একটা বাড়তি সুরক্ষার সঙ্গে আপোষ করছেন আপনিই। কারণ, ভারতের মোটর ভেহিকল আইন পথচারীদের জন্য বিশেষ প্রভিশন রেখেছে। জানেন কি?
ভারতের মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট, ১৯৮৮ পরিষ্কার বলছে, জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে গাড়িকে থামতেই হবে। পথচারীর সুরক্ষা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সুরক্ষা লঙ্ঘিত হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার পথচারীর আছে।
কীভাবে আইনি সুরক্ষা পাবেন আপনি?
দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথম কাজ হল এফআইআর দায়ের করা। এরপর মেডিকেল রিপোর্ট, সাক্ষীর বক্তব্য এবং দুর্ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ করতে হবে। এই সমস্ত নথি MACT বা মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম ট্রাইবুনালে জমা দিতে হবে।
কী কী ক্ষতিপূরণ মিলবে?
চিকিৎসার সব খরচ পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও দুর্ঘটনার ফলে ওই ব্যক্তির যা ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিও পুষিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভারতে সমস্ত রেজিস্টার্ড গাড়ির থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এই ইন্স্যুরেন্স থেকেই আহত পথচারীর সমস্ত ধরনের ক্ষতিপূরণ আসে।
দোষ প্রমাণ না হলেও টাকা!
আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ‘নো-ফল্ট লাইবিলিটি’। মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের সেকশন ১৪০ ও সেকশন ১৬৩এ বলছে, দুর্ঘটনার জন্য কার দোষ, তা প্রমাণ না হলেও আপনি প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ পাবেন।
দুর্ঘটনায় ক্যাশলেস চিকিৎসা
ভারতের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর ৭ অগস্টের আপডেট বলছে, দেশে যে কোনও মোটর গাড়ির সঙ্গে দুর্ঘটনায় আহত প্রত্যেক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ পাবেন। দুর্ঘটনার তারিখ থেকে ৭ দিনের মধ্যে এই টাকা পাওয়া যাবে। এর ফলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিদের দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
গাড়ি শনাক্ত করা না গেলে?
যদি কোনও ‘হিট-অ্যান্ড-রান’ হয়, অর্থাৎ গাড়ি যদি শনাক্ত না করা যায়, সেক্ষেত্রে সরকার পরিচালিত সোলোটিয়াম স্কিম রয়েছে। এই স্কিম অনুযায়ী, মৃত্যুতে ২ লক্ষ টাকা এবং স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এটি একটি কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
মনে রাখবেন, যদি তদন্তে দেখা যায় ওই ব্যক্তি নিজেও অসতর্ক ছিলেন, তাহলেও কিন্তু ক্ষতিপূরণ কমবে। ক্ষতিপূরণ একেবারে পাবে না, এমনটা হবে না। মদ্যপ অবস্থায় বা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালালে চালকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও হতে পারে। পথচারীর সুরক্ষা সমাজের মৌলিক অধিকার, আর সেই অধিকার রক্ষায় সদা সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার।
