Rohith Vemula Case: ‘দলিত ছিলেন না রোহিত ভেমুলা’, রিপোর্ট জমা পুলিশের, ক্লিনচিট সকল অভিযুক্তকে
Rohith Vemula Case: কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলে, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলা ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেন। এরপরই অভিযোগ ওঠে যে দলিত হওয়ায় র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন রোহিত। সেই কারণেই আত্মহত্যা করে রোহিত।
হায়দরাবাদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন রোহিত ভেমুলা। উঠেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। রোহিতের মৃত্যুর পর গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছিল বিক্ষোভের আগুন। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজাও। ৮ বছর পর রোহিত ভেমুলার মৃত্যু মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, রোহিত ভেমুলা দলিত ছিলেন না। তাঁর জনজাতি বা সিডিউল কাস্ট সার্টিফিকেট নকল ছিল। সত্য সামনে চলে আসার ভয়েই আত্মহত্যা করে রোহিত ভেমুলা। আত্মহত্যার মামলায় জড়িত সকলকে ক্লিনচিটও দেওয়া হয়েছে।
কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলে, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলা ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেন। এরপরই অভিযোগ ওঠে যে দলিত হওয়ায় র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন রোহিত। সেই কারণেই আত্মহত্যা করে রোহিত। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তদন্ত চলার পর সম্প্রতিই তেলঙ্গানা পুলিশের তরফে রিপোর্ট পেশ করা হয়।
রোহিতের আত্মহত্যার মামলায় জড়িত সকলকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর আপ্পা রাও , বিজেপির সেকেন্দ্রাবাদের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়, বিধান পরিষদের সদস্য এন রামচেন্দর রাও প্রমুখ। প্রত্যেককেই ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। রোহিত ভেমুলা দলিত বা নীচু জাতের ছিলেন না বলেও রিপোর্টে জানিয়েছে পুলিশ।
যদিও পুলিশের রিপোর্ট নিয়ে রোহিত ভেমুলার পরিবার প্রশ্ন তোলায় তেলঙ্গানার ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে জানান, এই মামলার আরও গভীরে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোহিতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, রোহিতকে তাঁর জাতপাতের ভিত্তিতে ভেদাভেদের শিকার হতে হয়েছিল। মানসিক, শারীরিক অত্যাচার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি-র সদস্যরা। পুলিশের রিপোর্টের পর রোহিতের ভাই বলেন, “কীভাবে আমার দাদাকে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং শেষ অবধি মেরে ফেলা হয়েছিল, তার তদন্ত না করে পুলিশ ওর কী শ্রেণি ছিল, তা নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে”। পুলিশের রিপোর্ট জমা পড়ার পর বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরেও ফের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর সময় তেলঙ্গানার গদিতে ছিল বিআরএস। বর্তমানে সরকার পাল্টে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল, এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসির মতো নেতারা। সংসদেও এই বিষয়টি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী।
আগামী ১৩ মে তেলঙ্গানায় লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। তার আগেই রোহিত ভেমুলার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।