AAP-Congress Fight: মোদী-শাহের ভবিষ্যতবাণীই কি তবে সত্যি? দিল্লির ৭ আসন ঘিরে তৃতীয় বৈঠকের আগেই তুমুল তর্ক আপ-কংগ্রেসের মধ্যে
INDIA Alliance: বুধবার কংগ্রেসের দিল্লি সংগঠনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং সাংসদ রাহুল গান্ধী। বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা অলকা লাম্বার মন্তব্যেই বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি জানান, দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: শুরু থেকেই ছিল বিরোধ, ফের ‘তু তু-ম্যায় ম্যায়’ শুরু আপ-কংগ্রেসের (AAP-Congress Infighting) মধ্যে। ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের তৃতীয় বৈঠকের আগেই ফের দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) নিশানায় কংগ্রেস (Congress)। দিল্লিতে ফের একবার প্রকাশ্যে এল আপ-কংগ্রেস চিরাচরিত সংঘাত। ইন্ডিয়া জোটে থাকা সময় নষ্ট ছাড়া কিছু নয় বলে সরাসরি জানিয়ে দিলেন আপের এক শীর্ষ নেতা। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পাস হয়ে গেলেই বিরোধী জোটকে ‘বাই বাই’ করে চলে যাবে আম আদমি পার্টি। এবার সেই ভবিষ্যতবাণীই সত্য়ি হওয়ার উপক্রম!
ঘটনার সূত্রপাত হয় কংগ্রেস শিবির থেকে। বুধবার কংগ্রেসের দিল্লি সংগঠনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাতটি লোকসভা আসনে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে নিয়েই আলোচনা করা হয়। বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা অলকা লাম্বার মন্তব্যেই বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি জানান, দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দিল্লির বৈঠকের আগে শীর্ষ নেতৃত্ব ১৮টি রাজ্যের মানুষের সঙ্গে দেখা ও কথা বলেছেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত কংগ্রেস নেতারা দিল্লির সাতটি আসনে লড়ার জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করবে। হাতে মাত্র সাত মাস সময় রয়েছে, সাতটি আসনের জন্যই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে আমাদের।”
বিতর্ক আরও উসকে দেন দিল্লির কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবারিয়া। আম আদমি পার্টির নাম না করে তিনি বলেন, “শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে যে দিল্লি উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছিল, সেই দিল্লি এখন দিক-নির্দেশ বিহীনভাবে চলছে”।
এরপরই পাল্টা আক্রমণে নেমে পড়েন আম আদমি পার্টির নেতারাও। আপের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা কক্কর বলেন, “যদি কংগ্রেস মনে করে তারা দিল্লিতে কোনও সমঝোতায় আসবেনা, তাহলে ইন্ডিয়া জোটে বৈঠকে যোগ দিয়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।”
বিপদ বুঝে আবার সাফাই দিতে নামেন বাবারিয়া। তিনি বলেন, “এটা ওনার (অলকা লাম্বা) ব্য়ক্তিগত মতামত। বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আজকের বৈঠকের আলোচ্য় বিষয় ছিল কীভাবে দিল্লিতে দলের সংগঠন মজবুত করা যায়।”
পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কেজরীবালের মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজও। তিনি বলেন, “আমাদের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। এ বিষয় নিয়ে ইন্ডিয়া জোটেও আলোচনা করা হবে।পরবর্তী ক্ষেত্রে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”
আপ-কংগ্রেসের এই বিরোধের জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগেই ইন্ডিয়া জোটের ভবিতব্য কী হয়, তাই-ই এখন দেখার।