নয়া দিল্লি : ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান শুরু করেছে চারমাস হয়ে গিয়েছে। তবুও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্য়ে একাধিকবার যুদ্ধ বিরতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। দুই দেশের যুদ্ধে প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল ভারত। ভারতের তরফে প্রথম থেকেই কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্য়মে এই যুদ্ধের সমাধান খোঁজার কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিনও পুতিনের কাছে যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থানকেই তুলে ধরেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এদিন টেলিফোনে কথা হয়। ২০২১ সালে ভ্লাদিমির পুতিন ভারত সফরে এসেছিলেন। সেই সময় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে দুই নেতার মধ্যে পর্যালোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। মূলত কৃষিজ সামগ্রী, সার ও ফার্মা প্রোডাক্ট নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়, আন্তর্জাতিক শক্তি ও খাদ্যের বাজার নিয়েও দুই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্য়ে কূটনৈতিক আলোচনা নিয়ে ভারতের দীর্ঘ অবস্থানের কথাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ বিশ্বের ও দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে প্রথম থেকেই কোনও পক্ষ নেয়নি ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ বৈঠকে আমেরিকার তরফে আনা রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। তবে ইউক্রেনের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছিল ভারত। তবে বরাবরই যুদ্ধ শেষের পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত। এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে কৃটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধের কথা বলেছিলেন। তবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। দেশের জনগণের স্বার্থে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ভারত। রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রেও চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।