নয়া দিল্লি: জুলাই মাসের ১৮ তারিখ ১৫ তম রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করবেন দেশের সাংসদ-বিধায়করা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আড়াআড়ি বিভক্ত। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি ভোট প্রার্থী করেছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো বিরোধী দলগুলি সম্মিলিতভাবে যশবন্ত সিনহাকে এবার নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। বিজেডি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মতো বিজেপি তথা এনডিএর সঙ্গে না থাকা একের পর এক রাজনৈতিক দল দ্রৌপদী মুর্মুর দিকে দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এবার আরও রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেলেন এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপির জোট ভেঙে ২১ মাস মৌনতা পালনের পর পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল চণ্ডীগঢ়ের দলীয় কোর কমিটির বৈঠক শেষে বলেন, “বিজেপির সঙ্গে কৃষি বিল সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা তাদের প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সুখবীর জানিয়েছেন, যে প্রার্থীর ওপর কংগ্রেসের সমর্থন রয়েছে সেই প্রার্থীকে সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই নেই কারণ কংগ্রেস শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
সুখবীর সিংয়ের দাবি, স্বর্ণ মন্দির আক্রমণ করে কংগ্রেস অন্যায় করেছে এবং এই কারণে হাজার হাজার শিখ মারা গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “অকালি দল সব সময়ই সমাজের নিম্নবর্গীয়দের সমর্থন করে এসেছে এবং দ্রৌপদী মুর্মু এসটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।” প্রসঙ্গত, সব ঠিক থাকলে ১৮ জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। রাজনৈতিক মহলের মতে বিরোধী প্রার্থী ভোটে না জিতলে, সম্মিলিতভাবে যশবন্তকে বেছে নেওয়া ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ভারতীয় রাজনীতির ওপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কী প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার।
অন্যদিকে রথযাত্রার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থান অনেকটা নরম করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মহিলা প্রার্থী হলে আমরা সবসময় সমর্থন করতে রাজি। বিজেপি যদি জানাত তারা আদিবাসী কোনও মহিলাকে প্রার্থী করছে তবে আমরা ভেবে দেখতাম। বৃহত্তর স্বার্থে একটি সিদ্ধান্ত পৌঁছতে পারতাম।”