নয়া দিল্লি: চলতি মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমীর পুতিন (Vladimir Putin)। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র সঙ্গে। কয়েক সপ্তাহ পার হতেই ফের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন তিনি। তবে এবার ফোনেই কথা চলল দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে। রাশিয়ার প্রতিনিধিদের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্য়ে কথা হয়েছে।
রাশিয়ার তরফে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বলে প্রায়সময়ই উল্লেখ করা হয়। দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে ফোনালাপে এই অঞ্লে কীভাবে শান্তি বজায় রাখা যায় এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর ভারত সফরের সময় যে চুক্তিগুলি স্থির হয়েছিল, তার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় নজরে রাখা প্রয়োজন, তা নিয়েও কথাবার্তা হয়।
রাশিয়ার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “গত ৬ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রতিনিধিদের যে উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে ভারতের তরফে যে আথিতেয়তা প্রকাশ করা হয়েছিল, তার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লািমির পুতিন।”
চলতি মাসের শুরুতে সাক্ষাতের সময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার উপর জোর দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে পুতিন বলেছিলেন, “আমরা ভারতকে একটি মহান শক্তি এবং এক বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখি। সময়ে সময়ে ভারত তার বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ছে এবং আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।”
খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনার হাতে আসবে অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন একে-২০৩ রাইফেল। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথমবারের টু প্লাস টু বৈঠকে এমনই চুক্তিতে সই হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সাক্ষাতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ৫০০০ কোটি টাকার এই চুক্তিতে মোটামুটি ৬ লক্ষ একে-২০৩ রাইফেল তৈরি হবে উত্তর প্রদেশের আমেঠিতে। একই সঙ্গে, নমো-পুতিনের বৈঠকে আগামী ১০ বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২১ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারত ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিলিটারি টেকনোলজির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক এক চুক্তিপত্রেও সই করা হয়।