Jammu Kashmir Delimitation Proposal: জম্মু-কাশ্মীরে আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনের, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বিরোধীদের
Jammu Kashmir Delimitation Proposal: প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি(Mehbooba Mufti)-ও এই প্রস্তাবনা ও সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, "এই কমিশন কেবল বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।ঠ
শ্রীনগর: ফের উত্তাল উপত্যকা। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) আসন সংখ্যা বৃদ্ধির খসড়া প্রস্তাবনা (Draft Proposal) ঘিরেই ছডাল উত্তেজনা। নতুন প্রস্তাবে জম্মুকে ছয়টি এবং কাশ্মীরে একটি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি এর বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে শক্তির পাল্লা ভারী জম্মুর দিকে ভারী করার চেষ্টা করছে সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের সীমানা নির্ধারণ কমিশনের (Delimitation Commission) তরফেই এই প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভা বা বিধানসভা আসনের পরিধি পরিবর্তন করে। স্বাধীন এই কমিটির কাজে কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপের অধিকর নেই। এই কমিটির নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার কিংবা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সদস্য হিসাবে থাকেন।
জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচ সাংসদ এই কমিটির সদস্য হলেও, তাদের মতামত গ্রহণ করতে বা মানতে বাধ্য নয় সীমানা নির্ধারণ কমিশন। সোমবারই দিল্লিতে একটি বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের ৫ সাংসদের হাতে এই খসড়া প্রস্তাবনা তুলে দেওয়া হয়। যদিও উপত্যকার প্রত্যেকটি দলের তরফেই এই প্রস্তাবকে পক্ষপাতদুষ্ট ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে অ্যাখা দেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির প্রেসিডেন্ট তথা সাংসদ ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah) এই বৈঠকে দিয়েছিলেন। তিনি এই খসড়া প্রস্তাবনার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, দলের তরফেেম্বর আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিবৃতি প্রকাশ করেই এই প্রস্তাবনার জবাব দেওয়া হবে। যদিও তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) টুইট করে লেখেন, “জম্মু-কাশ্মীর সীমানা নির্ধারণ কমিশনের খসড়া প্রস্তাবনা অগ্রহণযোগ্য। নতুন বিধানসভা আসন তৈরির প্রস্তাব, যার মধ্য়ে ৬টি জম্মুতে এবং ১টি মাত্র আসন কাশ্মীরে দেওয়া ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গত নয়।”
The draft recommendation of the J&K delimitation commission is unacceptable. The distribution of newly created assembly constituencies with 6 going to Jammu & only 1 to Kashmir is not justified by the data of the 2011 census.
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) December 20, 2021
প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি(Mehbooba Mufti)-ও এই প্রস্তাবনা ও সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, “এই কমিশন কেবল বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ধর্মীয় ও ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করাই কমিশনের লক্ষ্য।”
কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের জনগণনার উপর ভিত্তি করেই এই আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনরায় স্থির করার একমাত্র কারণ জনসংখ্যাই। ২০১১ সালের জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী, জম্মুর তুলনায় কাশ্মীরেই জনসংখ্যা বেশি। জম্মুতে যেখানে জনসংখ্যা ৫৩.৫ লক্ষ, সেখানেই কাশ্মীরে জনসংখ্যা ৬৮.৮ লক্ষ। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জম্মুতে ৩৭টি আসন রয়েছে, কাশ্মীরে ৪৬টি। লাদাখেও ৪টি আসন রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিশনের নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এবার থেকে কাশ্মীরে ৪৭টি আসন ও জম্মুতে ৪৩টি আসন থাকবে।
আরও পড়ুন: Jaya Bachchan: ‘সরকারের খারাপ দিন শুরু, আমি অভিশাপ দিচ্ছি’; রাজ্যসভায় মেজাজ হারালেন জয়া