মুম্বই: সইফ নয়, টার্গেট ছিল তাঁর ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর? বিস্ফোরক সব তথ্য উঠে আসছে পুলিশি তদন্তে। বুধবার রাতে নিজের বাড়িতে ছুরিকাহত হন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। ঘাড়ে, হাতে, পিঠে ছয়বার কোপ মারা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য এল সামনে। সইফ-করিনার চার বছরের ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে ঢুকেছিল হামলাকারী। দাবি করেছিল ১ কোটি টাকা! এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ মারফত জানা গিয়েছে, একা সইফ নন, জাহাহ্গীর ওরফে জেহ-র দেখভাল করা নার্স ও আরেক পরিচারকও আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল সে। পাশের লাগোয়া একটি বিল্ডিং টপকে সইফ-করিনার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিল।
জাহাঙ্গীরকে দেখভাল করেন এলিয়ামা ফিলিপ্স নামক এক নার্স। বিগত চার বছর ধরেই তিনি খান পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। তিনিই প্রথম হামলাকারীকে দেখতে পান। পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, রাত ১১টা নাগাদ তিনি জাহাঙ্গীরকে ঘুম পাড়ান। রাত ২টো সময় হঠাৎ ঘরে আওয়াজ পান। বাইরে থেকে জেহ-র ঘরের বাথরুমের লাইট জ্বলতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন করিনা কাপুর হয়তো তার ছেলেকে দেখতে এসেছেন। এই ভেবে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু মনে সন্দেহ হতেই তিনি আবার চোখ খোলেন। তখনই দেখতে পান, এক ব্যক্তি বাথরুম থেকে বেরিয়ে জেহ-র ঘরের দিকে যাচ্ছেন!
সঙ্গে সঙ্গে কে কে বলে চিৎকার করতেই, ওই ব্যক্তি ইশারা করে বলেন, কেউ যেন টু শব্দ না করেন। এরপরে জেহ-র উপরে হামলার ভয় দেখিয়ে ১ কোটি টাকা দাবি করে। ওই নার্স হামলাকারীকে বাধা দিতে গেলে, সে তাঁর হাতে ও কবজিতে ছুরি মারে।
তাঁর চিৎকার শুনেই ঘুম ভাঙে সইফের। ছুটে আসেন তিনি, হামলাকারীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। হামলাকারী তখন এলোপাথাড়ি কোপ মারে সইফকে। পালানোর সময় গীতা নামক আরেক পরিচারিকাকেও ছুরির কোপ মারে হামলাকারী।
পুলিশ চুরি, অবৈধ প্রবেশ এবং অবৈধ প্রবেশের সময় কাউকে গুরুতর জখম করার মতো ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
অন্যদিকে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয়টি কোপের মধ্যে দুটি গভীর আঘাত ছিল সইফের। শিরদাঁড়ার পাশে হামলাকারী যখন কোপ মারে, তখন আড়াই ইঞ্চি ছুরি ভেঙে শরীরের ভিতরেই রয়ে যায়। অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হয়। বাম হাতে দুটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ঘাড়েও একটা কোপ মেরেছিল হামলাকারী। প্লাস্টিক সার্জারিও করা হয় সইফের।