আহমেদাবাদ: দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির পর ফের জামিন পেলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। মোরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে ভুয়ো টুইটের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রকে (TMC Spokesperson)। ৫ ডিসেম্বর রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশ। ওই মামলায় বৃহস্পতিবারই আহমেদাবাদ আদালত তাঁকে জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু সেই জামিনের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের গুজরাট পুলিশ অপর একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। মোরবি জেলার এক আদালত শুক্রবার সেই দ্বিতীয় এফআইআর-এর ঘটনাতেও সাকেত গোখলের জামিন মঞ্জুর করেছে।
প্রসঙ্গত, যে আরটিআই নিয়ে টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেটির বিষয়ে চলতি মাসের এক তারিখে পিআইবির ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছিল যে ওই তথ্য ভুল। ওই ধরনের কোনও আরটিআইয়ের জবাব উপলব্ধ নেই বলেই জানিয়েছিল পিআইবি। সেই নিয়ে একটি টুইটও করেছিল তারা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সাকেত গোখলের জামিনের জন্য আবেদন করার সময় তাঁর আইনজীবী তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মাজিদ মেমন আদালতে জানিয়েছিলেন, ওই টুইটের পিছনে তাঁর কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না এবং তিনি ওই টুইটটি ডিলিট করে ফেলতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আহমেদাবাদ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথক একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জামিনের পরও দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির সেই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার গুজরাট উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদরা নির্বাচন কমিশনের কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত এদিন মোরবির নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় এফআইআর-এর ঘটনাতেও জামিন পেলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে।
এদিকে সাকেত গোখলের এই দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির ঘটনা নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম। তাঁর পাল্টা আক্রমণ, “স্বৈরাচারী মনোভাব পতনের কারণ। যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা স্বৈরাচারী ক্ষমতার প্রদর্শন।”