হায়দরাবাদ: একের পর এক দলে যেখানে ভাঙন ধরছে, সেখানেই আবার নতুন জোটের ইঙ্গিত। সোমবার হঠাৎ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (K Chandrashekhar Rao) সঙ্গে দেখা করতে যান সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। সূত্রের খবর, পূর্বপরিকল্পিত ছিল না এই বৈঠক। হঠাৎই বিশেষ বিমানে করে হায়দরাবাদে যান উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সাক্ষাতের পর দুই নেতা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করেন। তারই ফাঁকে চলে বৈঠক। হঠাৎ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সপা প্রধানের এই সাক্ষাৎকে রাজনৈতিক দিক থেকে অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ রবিবারই তেলঙ্গানার খাম্মামে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, বিআরএস যদি কোনও বিরোধী জোটে থাকে, তবে সেই জোটে যোগ দেবে না কংগ্রেস।
একদিকে যেখানে মহারাষ্ট্রে এনসিপির ভাঙন, শিবসেনা-বিজেপি জোটের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, সেখানেই আবার বিরোধী জোট নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের জনসভা থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিআরএস হল বিজেপির বি-টিম। তাই যে জোটে বিআরএস থাকবে, সেই জোটে সামিল হবে না কংগ্রেস। রাহুলের এই মন্তব্যের পরই উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ছুটে যান বিআরএস প্রধান তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের সঙ্গে দেখা করতে। যোগী রাজ্যে জোটের ব্যর্থতার পর থেকে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও কংগ্রেসের সম্পর্কও আদায়-কাঁচকলায়!
বিআরএস সূত্রে দাবি, বিরোধী জোটের সদস্যরা বিআরএসের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিআরএসের ভূমিকা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা বুঝতে পেরেই সপা প্রধান কেসিআরের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। অখিলেশ যাদবও বৈঠকের আগে বলেন, “কীভাবে বিজেপিকে হারানো যায়, তার পথ খোঁজা হচ্ছে।”
তবে সম্প্রতিই যেভাবে বিআরএস বিজেপি ইস্যুতে সুর নরম করেছে, তাতে বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে কেসিআরের দল ভিন্ন অবস্থান নিতে পারে বলেই জল্পনা।