নয়া দিল্লি: কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার-সহ ১৩ জন সাংসদকে ‘সংসদ রত্ন পুরস্কার ২০২৩’-এর জন্য মনোনীত করা হল। ১৩ জনের মধ্যে আটজন লোকসভার সাংসদ এবং বাকি পাঁচ জন রাজ্যসভার। এদের মধ্য তিনজন অবসরপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য। এছাড়া ২টি সংসদীয় কমিটি ও একজন সাংসদকে সারা জীবনের অবদানেক স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালের সভাপতিত্বে এবং ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস কৃষ্ণমূর্তি সহসভাপতিত্বে, বিশিষ্ট সাংসদ এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এক জুরি কমিটি এই পুরস্কারপ্রাপকদের মনোনীত করেছে।
বাংলার অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং সুকান্ত মজুমদার ছাড়া মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ বিদ্যুৎ বরণ মাহতো, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হিনা গাবিত, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ গোপাল চিনায়া শেঠি, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সুধীর গুপ্তা, মহারাষ্ট্রের এনসিপি সাংসদ অমল রামসিং কোলহে, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ রাই শর্মা, সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস, আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা, এনসিপি রাজ্যসভার সাংসদ ফৌজিয়া তাহসিন আহমেদ খান, সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ বিষম্ভর নিশাদ এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ছায়া ভার্মা। ১৭তম লোকসভার শুরু থেকে ২০২২ সালের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত করা প্রশ্ন, ব্যক্তিগত সদস্যর বিল এবং সাংসদদের শুরু হওয়া বিতর্কের ভিত্তিতে এই সাংসদদের পুরস্কৃত করা হল। লোকসভা এবং রাজ্যসভা সচিবালয় থেকে সাংসদদের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য সংর্গহ করা হয়েছে।
জন ব্রিটাস, মনোজ ঝা এবং ফৌজিয়া তাহসিন আহমেদ খানকে রাজ্যসভায় তাদের পারফরম্যান্সের জন্য ‘বর্তমান সদস্য’ বিভাগে মনোনীত করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিশম্ভর প্রসাদ নিশাদ এবং ছায়া ভার্মা মনোনীত হয়েছেন তাঁদের মেয়াদকালে অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য ‘অবসরপ্রাপ্ত রাজ্যসভা সাংসদ’ বিভাগে। জয়ন্ত সিনহার সবাপতিত্বে অর্থ বিষয়ক লোকসভা কমিটি এবং ভি বিজয়সাই রেড্ডির নেতৃত্বে পরিবহন, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক রাজ্যসভা কমিটিকে তাদের অসামান্য ক্রমবর্ধমান কর্মক্ষমতার জন্য পুরস্কৃত করা হচ্ছে। দুই মেয়াদের রাজ্যসভা সাংসদ থাকা সিনিয়র সিপিআইএম নেতা টি কে রঙ্গরাজনকে, সাংসদ হিসেবে তাঁর সারাজীবনের অবদানের জন্য ড. এপিজে আব্দুল কালাম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে।
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ নয়া দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই সাংসদদের পুরস্কৃত করা হবে। ডক্টর এপিজে আবদুল কালামের পরামর্শে সেরা সাংসদদের সম্মান জানাতে ‘সংসদ রত্ন’ পুরস্কার চালু করা হয়েছিল। তিনি নিজেই ২০১০ সালে চেন্নাইয়ে এই পুরস্কারে প্রথম সংস্করণ চালু করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৯০ জন সাংসদকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।