নয়া দিল্লি: রাজ্যসভার ৫৬টি আসনের জন্য গতকালই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে বাংলার পাঁচ আসনও। সেই ভোটাভুটির আগেই এবার নতুন সাংসদ পেল রাজ্যসভা। রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভার সদস্য হলেন সৎনাম সিং সাঁধু। কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সৎনাম, আজ গোটা ভারতের অন্যতম চর্চিত শিক্ষাবিদ। মঙ্গলবার তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
ছোটবেলা থেকেই শিক্ষাজীবনে অনেক কষ্ট-সংগ্রাম করতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি যে কষ্ট-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি যাতে অন্য কারও শিক্ষা জীবনে আর না আসে, না নিশ্চিত করাটাই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। নিজের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে কৃষিবিদ সৎনাম সিং সাঁধুর প্রথম ধাপ ২০০১ সালে। চণ্ডীগঢ় গ্রুপ অব কলেজেস-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোহালিতে। এরপর আরও এক বড় ধাপ এগোলেন ২০১২ সালে। তৈরি করলেন চণ্ডীগঢ় বিশ্ববিদ্যালয়। আরও বড় খবর আসে, ২০২৩ সালে। কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উঠে আসে এই চণ্ডীগঢ় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
I welcome the nomination of Shri Satnam Singh Sandhu Ji to the Rajya Sabha. His rich work in community service and his passion towards education, innovation and learning will be big sources of strength for the Rajya Sabha. I wish him the very best for his tenure. @satnamsandhuchd pic.twitter.com/UAA1FMk6yp
— Vice President of India (@VPIndia) January 30, 2024
ছোটবেলায় যে কঠিন পরিস্থিতি সামলেছেন, তা যাতে অন্য কারও জীবনে না আসে, সেই কথা সবসময় মনে রেখেছেন তিনি। সেই কারণেই চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সাঁধু, আজকের দিনে দেশের অন্যতম সমাজসেবীদের মধ্যে একজন। পড়ুয়াদের শিক্ষাজীবনে যাতে কোনও বাধা না আসে, সেদিকে সবসময় নজর রেখেছেন তিনি। লাখ লাখ পড়ুয়াকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন, যাতে তারা শিক্ষা থেকে কখনও বঞ্চিত না হয়।
সাধারণ মানুষের সেবার জন্য সৎনাম সিং সাঁধুর দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও রয়েছে। ইন্ডিয়ান মাইনরিটিস ফাউন্ডেশন এবং নিউ ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে তিনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে চলেছেন। একদিকে যেমন তিনি দেশের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরার জন্য কাজ করছেন, অন্যদিকে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন।
রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত নতুন সাংসদকে স্বাগত জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ও। মানবসেবায় সাঁধুর অবদান, শিক্ষার প্রসারের প্রতি তাঁর অবদান রাজ্যসভাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন ধনখড়।