নয়া দিল্লি : সপ্তাহের শুরুর দিনে বাংলার বিধানসভা যে ছবি দেখেছে, তেমন নজির অতীতে খুব বেশি নেই। দুই দলের বিধায়কদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি। আর তার জেরেই আহত হয়েছেন দুই দলেরই বিধায়ক। একদিকে এসএসকেএমে ভর্তি তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। অন্যদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। এ দিন কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল পরিস্থিতি। পরে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা সহ পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে এ দিন। সেই ঘটনার আঁচ পৌঁছল দিল্লিতেও। সোমবার বিধানসভার ঘটনা নিয়ে লোকসভায় সরব হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই, তাই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ জরুরি।
এ দিন লোকসভার অধিবেশন তলাকালীন সাংসদ সৌমিত্র বিধানসভার ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি জানান, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও মনোজ টিগ্গা আক্রান্ত হয়েছে। গোটা দেশে আগে কখনও এমন ঘটনা দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘সংসদে আমরা কখনও দেখিনি একজন সাংসদের ওপর হামলা হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে বিধায়কদের ওপর হামলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কোনও শাসন নেই, সরকার নেই। দিনে দিনে একটা নির্লজ্জ রাজ্যে পরিনত হচ্ছে।’ তাঁর দাবি এ দিন, বিধানসভায় অধ্যক্ষই বলেছেন, ওদের মারো, ওদের মারো। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করে সৌমিত্র বলেন, ‘৩৫৫ ধারা চাই। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তাঁদের ওপর আক্রমণ হয়েছে আর তাঁদেরই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘু মহিলা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আর বসিরহাটে ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে গিয়েই বিজেপি বিধায়করা সাসপেন্ড হয়েছেন। ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদে দেখতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।